স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ অক্টোবর : রাজ্যে ঝড় বইছে ধর্ষণ গণধর্ষণের মতো অপরাধমূলক ঘটনার। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগ জনক হয়ে উঠছে প্রতিদিন রাজ্যের কোনো না কোনো প্রান্ত থেকে নারকীয় পাশবিক কান্ডের ঘটনার অভিযোগ উঠছে। এ ধরনের দুঃশাসন হয়তো রাজ্যের আপামর জনগণকে আরো একবার নারী সুরক্ষা নিয়ে ভাবিয়ে তোলার মতো অবস্থার সাক্ষী রাখছে। কারণ গত ১২ দিনে রাজ্যে চারটি ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ ওঠার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতি প্রশমিত হওয়ার আগেই আবারো এক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক অনাথ নাবালিকার পক্ষ থেকে। অনাথ নাবালিকা মেয়েটিকে জেতার্তু ভাই ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ।
বর্তমানে ১৭ বছরের নাবালিকা মেয়েটি তিন মাসের গর্ভবতী। এই ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে আগরতলা জিবি ৭৯ টিলা স্থিত হরিজন কলোনী এলাকায়। নাবালিকা মেয়েটির অভিযোগ তাকে তার জেঠিমনি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ভাইকে দিয়ে লালসা মিটিয়েছে। অভিযুক্ত যুবক লক্ষণ দাস আইজিএম হাসপাতালের এক্স -রে কর্মী ছিলেন। বর্তমানে তিনি কুমারঘাট হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা যায়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে নাবালিকা মেয়েটি শারীরিকভাবে অস্বস্তি বোধ করলে ছুটে যায় অভয়নগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। গর্ভবতী হওয়ার বিষয় জানতে পেরে জিবি ফাঁড়ির পুলিশের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু জিবি পুলিশ ফাঁড়িতে এসে অভিযুক্ত যুবকের আপন বোন নাবালিকা মেয়েটিকে মারধর করে বলে অভিযোগ। পরবর্তী সময় নাবালিকা মেয়েটি পূর্ব মহিলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত যুবককে আইনত কঠোর শাস্তি দাবি করেন নাবালিকা মেয়েটি। এদিকে এই ঘটনার পর প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সংগঠনের পক্ষ থেকে পূর্ব মহিলা থানায় একটি ডেপুটেশন প্রদান করা হয়। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রদেশ সভানেত্রী পান্না দেব সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। দাবি জানান অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে সুষ্ঠু তদন্ত করার জন্য। পাশাপাশি পুলিশকে কঠোর হস্তে এ ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা মোকাবিলা করার দাবি জানান তিনি।