স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ নভেম্বর : বুধবার রাত থেকে আগরতলা শহরে বহিরাগতদের সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। ভোটের দিন সকাল থেকে মানুষের উপর সন্ত্রাস ক্রমাগত ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে শুরু করে। বিরোধী দলের মনোনীত প্রার্থীরা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেনি। বহু প্রার্থীকে ভোট কেন্দ্রের সামনে আক্রান্ত হতে হয়েছে। এই সবগুলি সন্ত্রাসে পুলিশের ব্যর্থতা চরমে উঠেছে। তাই মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং পুনরায় ভোটের দাবিতে পূর্ব থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের আহবায়ক সুবল ভৌমিকের নেতৃত্বে আগরতলা পূর্ব থানায় বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক ও প্রার্থীরা। তাদের অভিযোগ বিজেপির দুর্বৃত্তদের জন্য নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের আহব্বায়ক সুবল ভৌমিক জানান মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে হবে। এদিন মানুষ সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যায়। কিন্তু ভোট কেন্দ্র থেকে মানুষকে শাসক দলের দুর্বৃত্তরা ফিরিয়ে দিচ্ছে। বিজেপি ভোটকে কেন্দ্র করে সারা রাজ্যে একটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে। পুলিশ বিজেপি সরকারের নগ্নতার সমর্থন করছে। বহু প্রার্থী ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে পারেনি। মানুষের উপর অত্যাচার নামিয়ে এনেছে বিজেপি দুর্বৃত্তরা। তাই দাবি তোলা হচ্ছে মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং নির্বাচন পুনরায় সংগঠিত করার জন্য। ক্ষমতা কে কেন্দ্র করে বিজেপি সন্ত্রাস করে জয়ী হতে চাইছে পুর নির্বাচনে। কারণ তাদের ৫ শতাংশ ভোটের সমর্থন নেই রাজ্যে। জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে বিজেপি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কথা দিয়েছিলেন রাজ্যে আর সন্ত্রাস হবে না, তারপরও লাগাতার সন্ত্রাস অব্যাহত। জুমলা সরকারের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালত পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করেছে। কিন্তু শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পর্যন্ত ত্রিপুরা রাজ্যে কলাপাতা হয়ে গেছে। পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই। পুলিশের এ ধরনের ব্যর্থতা জন্য শাস্তির প্রয়োজন বলে দাবি তোলেন তিনি। পরবর্তী সময় সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ঘটনাস্থলে এসে সুবল ভৌমিকের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হয়।