স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ অক্টোবর : সম্প্রতি রাজ্যে লাগামহীন ভাবে ধর্ষণ, গণ ধর্ষণ সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনা সংগঠিত হয়ে চলেছে। তারই প্রতিবাদে শনিবার প্রদেশ যুবক কংগ্রেস ভবন থেকে দুপুর বেলা এক বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত করে মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির সামনে গিয়ে ধর্নায় বসে। দাবি জানানো হয় যারা রাজ্যের সাম্প্রতিককালের গণধর্ষণের ঘটনাগুলি মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছে তাদের অবিলম্বে বরখাস্ত করার জন্য। না হলে মুখ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত দাবি জানায় যুবক কংগ্রেস। মিছিলটি শহরে বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়ে ধর্নায় বসে যুব কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা।
উপস্থিত প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি রাখু দাস জানান, বিজেপি সুশাসনের নামে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে প্রচার করছে। কিন্তু সুশাসনের নামে চলছে কু শাসন। সম্প্রতি কমলপুর কল্যাণপুর আগরতলা যোগেন্দ্রনগর সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ গণধর্ষণ এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। আর এই ঘটনাগুলির সাথে জড়িত বিজেপির প্রভাবশালী নেতারা। তিনি আরো অভিযোগ তুলে বলেন কমলপুর গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত মন্ত্রী ভগবান দাসের ছেলে। আর এই ঘটনার ধাপাঝাপা দিতে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলন করে মিথ্যা কথা বলছেন। একইভাবে কল্যাণপুরের যে গণধর্ষণের ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে তাতেও বিজেপির দলের নেতা তথা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এবং দুজন সদস্য জড়িত। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা দাবি করছেন ত্রিপুরায় নাকি সুশাসন চলছে। তাহলে কোথায় সেই সু শাসন , দিবালোকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এবং সম্প্রতি যে ঘটনাগুলির সাক্ষী রয়েছে রাজ্যবাসী তা ধাপা চাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে মানিক সাহার মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তাই দাবি জানানো হচ্ছে অবিলম্বে সেই মন্ত্রীদের মন্ত্রী সভা থেকে বরখাস্ত করার জন্য। নাহলে মুখ্যমন্ত্রীর বরখাস্তের দাবি জানায় যুব কংগ্রেস বলে জানান তিনি।
দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ যুব কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্য মহিলা কমিশনের ভূমিকা নিয়ে। নারী সংক্রান্ত এতগুলি ঘটনা রাজ্যে ইতিমধ্যে সংগঠিত হওয়ার পরেও মহিলা কমিশনের ইতিবাচক ভূমিকা নেই বলে অভিমত অভিজ্ঞ মহলের। কিন্তু নারীদের সুরক্ষার জন্য এবং সঠিক বিচার পাইয়ে দেওয়ার জন্যই মহিলা কমিশন গঠন করা হয়েছে।