স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ অক্টোবর : বিশালগড় কদমতলী জুনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষা পরিকাঠামো অত্যন্ত করুন অবস্থা। সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং শিক্ষকদের গাফিলতিতে ছাত্র ছাত্রীরা বঞ্চনার শিকার বলে রিতিমতো এই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করেছে। মাদ্রাসার পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান বাবুল মিয়ার কাছ থেকে জানা যায়, পর্যাপ্ত শিক্ষক এবং উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে তলান্নিতে গিয়ে ঠেকেছে শিক্ষার মান।
সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসায় ৫৫ জন পড়ুয়া থাকলেও শিক্ষক সংখ্যা মাত্র দুজন। মাদ্রাসাটি নিয়ম মাফিক সপ্তাহে ছয় দিন খোলা থাকার কথা থাকলেও অন্তত বন্ধ থাকে দুদিন। বাকি তিন চার দিন খোলা থাকলেও নিয়মিত ক্লাস হয় না। অধিকাংশ সময় ছাত্রছাত্রীরা এসে মাদ্রাসার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে, কিন্তু স্কুল খোলার সময় পেরিয়ে গেলেও মাদ্রাসার তালা খুলছে না শিক্ষকরা। কারণ শিক্ষকরা স্কুলের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর স্কুলে আসে। মাদ্রাসার ক্লাস গুলোর সামনে পরিবেশ অত্যন্ত অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন। প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত সব ক্লাসের ছাত্রদের দুই ভাগে বিভক্ত করে পাঠ দান করেন দুইজন শিক্ষক। রয়েছে চেয়ার টেবিলের তীব্র সংকটও। নেই পড়ুয়াদের বসার টেবিল। এমনটাই জানান মাদ্রাসার পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া। তিনি আরো জানান মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নানু হুজুরকে দুই শিক্ষকের বেতনের কিছু অংশের টাকা দিয়ে মাদ্রাসায় ফের নিয়োগ করা হয়েছে। পাঠদানের পাশাপাশি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর কাজও করেন মাদ্রাসার প্রাক্তন প্রিন্সিপাল নানু হুজুর। বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না কদমতলী এলাকার মানুষ। অতিসত্বর মাদ্রাসায় প্রয়োজনীয় শিক্ষক এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দাবি জানান স্থানীয়রা।