স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ অক্টোবর : নাবালিকা গণধর্ষণের শিকারের অভিযোগে উত্তপ্ত কল্যাণপুর থানা এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ময়দানে নামে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় সিআরপিএফের টহলদারি চলছে। ধর্ষিতা নাবালিকার পরিবারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় মামলা গৃহীত হয়। গণধর্ষণে অভিযুক্তরা হলো আদিত্য দাস, তাপস দেবনাথ, রঞ্জিত। তাদের বাড়ি কল্যানপুর থানা এলাকার পশ্চিম দ্বারিকাপুর পঞ্চায়েতের খাস কল্যানপুর গ্রামে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তাপস দেবনাথকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে মঙ্গলবার রাত আনুমানিক এগারোটা নাগাদ কল্যাণপুর থানা এলাকার নাবালিকা তার কয়েকজন বন্ধুদের সাথে খাস কল্যাণপুর গ্রামে কালী পূজা উপলক্ষে আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যায়। সেখান থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার সময় এলাকার কিছু দুষ্কৃতিকারীরা তাদের গতিরোধ করে টাকা মোবাইল সহ বেশ কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই সংশ্লিষ্ট নাবালিকা মেয়েটি নিখোঁজ ছিল, অনেক খোঁজাখুঁজির পড়েও মেয়েটিকে পাওয়া যায়নি বলে এলাকা সূত্রে জানা গেছে। এদিকে আজ ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই মেয়েটি এক প্রকার বিধ্বস্ত অবস্থায় তার নিজ বাড়িতে পৌঁছে।
এরপর পরিবার সূত্রে দাবি করা হয় মেয়েটিকে মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় কয়েকজন মিলে মুখে চাপা দিয়ে গণধর্ষণ করে। এদিকে পুলিশ জানায় ঘটনার তদন্ত চলছে। সমস্ত অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। কিন্তু খবরটি ছড়িয়ে পড়তে স্থানীয়রা কল্যাণপুর থানা ঘেরাও করে। দাবি অনতিবিলম্বে ধর্ষণের সাথে যুক্তদের গ্রেপ্তারপূর্বক উপযুক্ত শাস্তির বিধান করতে হবে। বর্তমানে পরিস্থিতির স্বাভাবিক। তবে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ এবং টিএসআর সহ আধা সামরিক বাহিনী।