স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ অক্টোবর : ২১ অক্টোবর রাজধানীর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে সিপিআইএমের জনসমাবেশ ঘিরে সারারাজ্যে সন্ত্রাস কায়েম করছে। দিকে দিকে চলছে হামলা হুজ্জুতি, কর্মীদের মারধর, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ সহ বিভিন্ন ঘটনা সংগঠিত করে চলেছে। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অভিযোগের তীর শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, বিশালগড় থানাধীন হরিশনগর চা বাগান এলাকায় বাম কর্মী বিষ্ণু দেববর্মাকে মারধোর করার অভিযোগ উঠল বিজেপির দিকে।
৮ সেপ্টেম্বর বিশালগড় সিপিএমের ডেপুটেশনের এবং ২১ অক্টোবর আগরতলায় সিপিএমের জনসভায় যাওয়ার অভিযোগ তুলে বিষ্ণু দেববর্মাকে মারধর করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় বিশালগড় থানার পুলিশ। অভিযোগ সিপিএম কর্মী বলে বিষ্ণু দেববর্মার অটো গাড়িও রাস্তায় চলাচল বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি রাতের অন্ধকারে তার বাড়িও পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় বলে বিজেপি কর্মীরা অভিযোগ বাম সমর্থ বিষ্ণু দেববর্মার। আক্রান্ত বিষ্ণু দেববর্মা পুলিশের কাছে অভিযুক্তদের নাম দিয়ে মামলা করেন। এখন দেখার কবে নাগাদ পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। অভিযোগ আগে থেকেই বিষ্ণু দেববর্মা সহ আরো কয়েকজন বাম কর্মীকে মারধর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি কর্মীরা। অবশেষে রবিবার দুপুর বারোটায় হরিশ নগর চা বাগান এলাকায় বাম কর্মী বিষ্ণু দেববর্মাকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়। পাশাপাশি বিজেপি কর্মীরা হুমকি দিয়ে যায় যদি প্রকাশ্যে এবং নিজে আসা হয় রাতের অন্ধকারে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হবে।
শুক্রবার রাতে উদয়পুরের ছাতারিয়ার সি পি আই এম কর্মী এরশাদ মিঞার উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায় বিজেপির দুর্বৃত্তরা। আহত এরশাদ মিঞার আঘাত গুরুতর হওয়ায় বর্তমানে তিনি গোমতী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে রবিবার গোমতীর যারা হাসপাতালে ছুটে যান সিপিআইএম বিধায়ক রতন ভৌমিক। তিনি আহত এরশাদ মিয়ার শারীরিক অবস্থা খোঁজখবর নিয়ে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
এদিকে ২১ অক্টোবর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে সি পি আই এম -এর জন সমাবেশে অংশ নেওয়ায় সাব্রুমে এক নেত্রীর দোকান জ্বালিয়ে দেয়। সিপিএম নেত্রীর নাম বিজয়া তলাপাত্র। খবর পেয়ে রবিবার ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সাব্রুম মহকুমা স্তরের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তারা ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন সাব্রুমের দুটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কয়েক শতাধিক কর্মী সমর্থক সেদিনের জন সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছিল। এরমধ্যে বিজয়া তলা পাত্র একজন। সেদিন জনসমাবেশে যাতে কর্মীরা না যেতে পারে তার জন্য বহু প্রচেষ্টা করেছে শাসক দল বিজেপি। বি এম এস দ্বারা গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়, রেলের বগি কমিয়ে দেওয়া হয়। তারপরও কর্মীদের আটকে রাখতে পারেনি শাসকদল বিজেপি। তাই বিজয়া তলাপাত্রের দোকান ঘর পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এই ঘটনায় বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। তবে এভাবে ঘটনার সংগঠিত করে ঘর বন্দী করে রাখতে পারবেন না কর্মীদের বলেন নেতৃবৃন্দ।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সিপিএম নেতৃত্বদের পক্ষ থেকে দাবি উঠছে।