স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ অক্টোবর : প্রাক্তন এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে তফাৎ লক্ষ্য করতে পারছেন না চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাই ইতিবাচক ভূমিকা না নিলে সমস্ত দুর্নীতি সামনে তুলে আনা হবে। আর এই দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হলে সরকার সহ্য করতে পারবেনা।
শনিবার দুপুরে সিটি সেন্টারে সাংবাদিক সম্মেলন করে এভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন জে এম সি ১০,৩২৩ শিক্ষক সংগঠনের বিজয়কৃষ্ণ সাহা। তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ডেকে নিয়ে দু মাসের সময় চেয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। এবং পরবর্তী সময় শিক্ষামন্ত্রী একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই রিপোর্ট ঘোষণা করেনি। চাকরি-হারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবিও করা হয়েছিল। দেখা গেছে সেই তদন্তের রিপোর্ট এখনো তালা বন্দী করে রাখা হয়েছে।
তাহলে কি পূর্বতন এবং বর্তমান সরকারের মধ্যে মিতালী সম্পর্ক হয়ে রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তিনি। নাকি ললিপপ? এবারও ২৬ সেপ্টেম্বর বিধানসভা অধিবেশনের পর মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে দেখা করা হলে তিনি আশ্বস্ত করেছিলেন দুর্গাপূজার পর মন্ত্রিসভার সদস্যদের সাথে আলোচনা করে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু দেখা গেছে শুক্রবার পর্যন্ত অফিস খোলা ছিল। শনিবার থেকে সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। এই সরকারি ছুটির মধ্যেও যদি সরকার জরুরী বৈঠক করে সদর্থক ভূমিকা নিতে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে তাহলে ২৪ অক্টোবরের পর আর অপেক্ষায় বসে থাকবে না চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা। বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে চাকুরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকা। আর এমন আন্দোলন বর্তমান সরকার এবং রাজ্যের পূর্বতন কোন সরকার দেখে নি। সে আন্দোলনে রাজ্যের ঘোটালাও বের করে আনা হবে। এতদিন ধরে যা হয়েছে তার শ্বেতপত্র বের করা হবে। কোন বিধায়ক যদি এতে দেখা যায় পরে তাহলে এর জন্য দায়ী হবে সরকার। সমস্ত দুর্নীতি সামনে তুলে ধরা হবে। যা সহ্য করতে পারবে না রাজ্য সরকার। যা বর্তমান সরকারের জন্য শোভনীয় হবে না বলে জানান তিনি।
এদিকে ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হয় ১০,৩২৩ ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক সমাজের আমরণ অনশন। তাদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি জানানো হচ্ছে চাকরিতে পুনর্বহাল করার জন্য। কারণ অনশন মঞ্চে দ্বিতীয় দিন পাঁচ জন চাকরি হারা শিক্ষক-শিক্ষিকা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তৃতীয় দিন অর্থাৎ শনিবার আরও একজন শিক্ষক অসুস্হ হয়ে পড়েন। অসুস্থ শিক্ষকের নাম রাজেশ বণিক। তাই সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার দাবি জানান সংগঠনের নেতৃত্ব প্রদীপ বণিক।