স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ অক্টোবর : বিশালগড় রাজনৈতিক ময়দানে শাসক বিরোধীদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উত্তপ্ত বিশালগড় রাউৎখলা এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়ন করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী।উল্লেখ, সোমবার বিকাল চারটা নাগাদ দুর্গানগর এলাকায় কংগ্রেসের এক উঠোন সভা হয়। উঠুন সভা শেষে বাইক রেলিও বের হয় কংগ্রেসের। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশালগড় রাউতখলা এলাকার একাংশ যুবক।
যার একাধিক ছবি সামাজিক মাধ্যম পোস্ট করা হয়। এর মাঝে গতকাল বিশালগড়ে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। কংগ্রেসের সভায় উপস্থিত যুবকদের বাড়িঘরে হামলার পরিকল্পনা নেয় যুব মোর্চার সদস্যরা। রাত নয়টা নাগাদ বিজেপি দল শাসক দল সমর্থিত স্থানীয় একাংশ যুবক উত্তরা এলাকার কংগ্রেস সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা ছক কষে। মোট তিনটি বুলেরু গাড়ি ভর্তি যুবক রাউত খোলা এলাকায় কংগ্রেস সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলার প্রস্তুতি নেয়। রাতের আঁধারে তিনটি বুলেরো গাড়ি করে প্রচুর সংখ্যক যুবক রাউৎখলা এলাকায় উপস্থিত হয় এবং আক্রমণ করতে উদ্যোত হয়। এলাকার নর-নারী সাধারণ জনগণ এক বাক্যে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। উত্তেজিত জনতার আক্রমণে থেকে মুক্তি পেতে, কোনমতে এলাকা ছেড়ে জীবন রক্ষা পায়। উত্তেজিত জনতা রোষনালয় থেকে মুক্তি পেতে সেখান থেকে কোনমতে পালিয়ে জীবন রক্ষা করে। ভেঙ্গে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় যুব মোর্চা সেক্রেটারি এছাড়া তরুণ সংঘ ক্লাব সভাপতি সৈকত সাহার ব্যক্তিগত বোলেরো গাড়ি।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে রাউতখলায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এলাকার যুবরা। সোমবার রাতে রাউতখলা বাইপাস সংলগ্ন বিজেপির যুব মোর্চার জেলা নেতা সৈকত সাহা নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় ছয়টি দোকানে বলে অভিযোগ। টাকা- সামগ্রী লুট করার পাশাপাশি দোকানপাট বন্ধ করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় মালিকদের। পরে সৈকত সাহা গাড়ি ভর্তি করে হামলার উদ্দেশ্যে যায় উত্তর রাউত খলায়। তাদের হামলা হুজ্জুতি রুখতে ঐক্যবদ্ধ হয় এলাকার মানুষ। পরে একটা সময়ে পালিয়ে যায় বিজেপির গুন্ডারা বলে জানায় স্থানীয় যুবরা।