স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ অক্টোবর : আগামী ২১ অক্টোবর রাজধানীর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে সিপিআইএম পার্টির ডাকে রাজ্যভিত্তিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, পুলেট ব্যুরোর সদস্য তথা বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার সিপিআইএম রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ সমাবেশের ঘোষণা দেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী।
তিনি বলেন ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা ত্রিপুরা রাজ্যে গত সাড়ে চার বছরের মানুষের জীবন জীবিকার উপরে খরগ নেমে এসেছে। গ্রাম পাহাড় সর্বত্র কোন কাজ নেই বা বিভিন্ন দপ্তরের কাজ বন্ধ হয়ে আছে। শ্রমিকদের অবস্থা সাড়ে চার বছরের ত্রিপুরাতে ইতিহাস হয়ে গেছে। যত সামান্য যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ হয় এ অর্থ চলে যায় শাসকদলের রাঘব বোয়ালদের পকেটে। কারণ নানাভাবে পেটুয়া বাহিনীর খাই মেটাতে হয়। এ ডি সি এলাকায় ভিলেজ কমিটি নেই। শাসক দলের মাফিয়া বাহিনী সেখানে সরকারি আধিকারিকদের উপরে চাপ সৃষ্টি করে ব্লকের কাজ লুটপাট করছে। তার সাথে হলো নতুন কোনো প্রকল্প নেই, ঠিকেদারদের কোন কাজ নেই। যে কাজগুলো হচ্ছে সেখানে কোন বিল পাচ্ছে না। আর অল্পস্বল্প যেগুলো কাজ হচ্ছে সেগুলো সিন্ডিকেড রাজ চলছে। ফলে মানুষের উপর যে প্রভাব পড়েছে তা সদ্য সমাপ্ত দুর্গাপূজায় পরিলক্ষিত হয়েছে। এটা ধাপাঝাপা দেওয়ার জন্য জনগণের পয়সা দিয়ে কার্নিভালের নামে তামাশা করে দেখাতে হয়েছে সরকারকে।
তিনি আরো বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশছোঁয়া। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেট্রোল, ডিজেল, সি এন জি এবং কেরোসিনের মূল্য। এছাড়াও গত সাড়ে চার বছর ধরে কোন নিয়োগ নেই। বরং ১০,৩২৩ সহ বহু কর্মী চাকরি থেকে ছাঁটাই হয়েছে। আর চূড়ান্ত আইন শৃঙ্খলার অবনতি। জনজীবনের সমস্যাগুলি নিয়ে সরকারের ঘুম ভাঙানোর জন্য এই জনসমাবেশ হাতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রাক্কালে এই সমাবেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে অভিমত ব্যক্ত করেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। এবং মানুষের জলন্ত সমস্যা নিয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে কর্মসূচি গুলি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নেওয়া হয়েছে তাতে প্রায় এক লক্ষাধিকের অধিক মানুষ শামিল হয়েছে। কিন্তু কর্মসূচিতে পুলিশ শাসনদলের চাপে পড়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম পুলিশের সাথে সংঘর্ষ করেও কর্মসূচি সংঘটিত করেছে। কিন্তু তারপরেও বর্তমান বিজেপি ও আইপিএফটি জোট সরকার মানুষকে আবারো কিভাবে প্রতারিত করা যায় সেই কৌশল গ্রহণ করছে। তাই সারা দেশবাসী কাছে ত্রিপুরার গত সাড়ে চার বছরের চেহারা তুলে ধরার জন্য ২১ অক্টোবর সমাবেশে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবং সরকারকে মানুষের সাথে আরেকবার প্রতারণার খেলার করতে চাইছে তা ষ্পষ্ট হয়ে গেছে। কারণ যে সরকার বেকারদের কাজ দিতে পারেনা, কর্মচারীদের ডি এ মিটিয়ে দিতে পারে না এবং রাস্তাঘাট সংস্কার করতে পারেনা সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে সুশাসন বলে মন্ত্রীদের ছবি ঝুলাচ্ছে। এবং জনগণের কাছে মিথ্যা প্রচার করে চলেছে। এমনকি নিয়োগ নিয়ে কোন পরিকল্পনা নেই বলে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তিনি।