স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ নভেম্বর : ত্রিপুরাতে দীর্ঘদিন কমিউনিস্টের শাসন ছিল। সে সময়ে যারা বিরোধী ছিলেন তারাও নিজেদের কমিউনিস্ট সিস্টেমে পরিচিত করতেন। এটাই ত্রিপুরার সবচাইতে বড় দুর্ভাগ্য ছিল। রবিবার বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের উদ্যোগে বনমালী পুরের কর্মচারী ও পেনশনারদের মিলন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। নজরুল কলা ক্ষেত্রে হয় এই মিলন সভা।
বর্তমান মন্ত্রিসভার এক প্রাক্তন মন্ত্রী এক সময় নিয়ে এসেছিলেন কিছু প্রস্তাব। এই এ প্রস্তাব অনুযায়ী তিনি জানিয়েছিলেন পদোন্নতি, ১০,৩২৩ মামলা হেরে যাবে সরকার। কিন্তু নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সকলের কথা শুনতে হতো। ধারণা হয়েছিল দীর্ঘদিন রাজনীতির ছিল ত্রিপুরাতে। তাই তার অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু দেখা গেছে এই মানুষগুলি ত্রিপুরাকে বিনাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর দেখানো দিশাতে চলতে শুরু করার পরেই নতুন ত্রিপুরা তৈরি হতে লাগল। মানুষের মধ্যে নতুন চিন্তা ভাবনা ও মানসিকতার পরিবর্তন ঘটেছে। আগে গতানুগতিক একটা অবস্থা চলছিল।
তাদের আন্দোলনের ফলে ৭ বছর ধরে কর্মচারীদের পদোন্নতি বন্ধ। এই সরকার কর্মচারীদের এডহক পদোন্নতি করেছে। নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। পূর্বতন সরকার এসটি, এসসি ও সাধারণের মধ্যে বিভেদ তৈরি করেছিল। বর্তমান সরকার সেই বিভেদ ঘুচিয়ে এক জায়গায় এনেছে। আগে পূর্বতন সরকার, রাজনৈতিক দল গুলি মিটার গেজ চলত। নরেন্দ্র মোদী ত্রিপুরাতে ব্রডগেজ এনেছে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে। বিপ্লব দেব ও ব্রডগেজ এসেছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর আবিষ্কার। নরেন্দ্র মোদি না থাকলে ত্রিপুরা কখনোই বামফ্রন্টের গ্যারাকল থেকে মুক্ত হতো না। কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের আলোচনা ও সমালোচনা না করে তার কাজের সমালোচনা করা উচিত। বামফ্রন্ট ইউনিয়নের জন্য বিশ্বের বিখ্যাত। ত্রিপুরার কর্মচারীদের সংগ্রাম ও আন্দোলনের ফলে কোন ফুল ফোটে নি। কর্মচারী ও পেনশনারদের জীবনের শেষ কথা সন্তানদের ভবিষ্যত।
সন্তানদের সুশিক্ষিত ও সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ তুলে দিতে না পারলে সমস্ত পরিশ্রম বৃথা। মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন তৈরি করতে ছয় বছর সময় লাগলে বাকি নির্মাণ কবে শেষ হবে তা সকলের জানা। এদের মহারাজদের কাছ থেকে শেখা উচিত ছিল। জল যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হয়েছে বনমালীপুর। এটা করতে পূর্বতন সরকার ব্যর্থ হয়েছিল। তাদের মুখপত্রে প্রতিদিন মিথ্যে ছাপা হয়। ত্রিপুরার ব্যবস্থাকে বরবাদ করেছে কমিউনিস্টরা। মানুষের জীবন নিয়ে আগে খেলত কমিউনিস্টরা। বিভাজনের রাজনীতি করে ত্রিপুরার বিনাশ করেছে কমিউনিস্ট। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা সহ অন্যান্যরা।