স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ অক্টোবর : বিধানসভা নির্বাচনের পাঁচ মাস আগেও শাসক দল অভিভাবক শূন্যতায় ভুগছে। যার ফলে মেম্বার এবং প্রধানের মধ্যে শুরু হয়েছে লড়াই। উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ধ্বজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দ্বারা শারীরিক ভাবে নিগৃহীত হওয়ার অভিযোগ করেন ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মল্লিকা দাস সরকার। স্বামী রনজিৎ সরকার এবং তার উপর পঞ্চায়েত প্রধান জয়ন্ত শীল চড়াও হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সোমবার রাধাকিশোর পুর থানায় এসে একটি অভিযোগও দায়ের করেন। পরে তিনি জানান ১০ দিন অতিক্রম হয়ে গেছে, দলের কাছে বিচার প্রার্থী হয়েছিলেন, কিন্তু দলের তরফ থেকে কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করা হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি বিষয়টি নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন। ঘটনার সূত্রপাত ধ্বজনগর ২ নং ওয়ার্ডের মোদকপাড়ায় একটি কালভার্ট নির্মাণকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ ২নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যের বক্তব্য অনুযায়ী ১ নং ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন ধ্বজনগর পঞ্চায়েত প্রধান জয়ন্ত বাবু। তার কাছে বেশ কয়েকবার দুই নং ওয়ার্ডের কালভার্টটি ঠিক করে দেওয়ার জন্য তিনি কথা বলেন। যেহেতু শারদীয় উৎসবের মুহূর্তে ওয়ার্ডের নাগরিকরা মেম্বারের নিকট এটা নির্মাণের জন্য দাবি করে আসছিলেন । জয়ন্ত শীল করার চেষ্টা করছেন বলে জানান এবং কাজটি ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মল্লিকা সরকারের স্বামীকে দেওয়া হবে বলে কথা দেন এমনটাই অভিযোগ মেম্বারের। আরো জানা যায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর যখন মেম্বারের স্বামী রনজিৎ কুমার সরকার মদমত্ত অবস্থায় বুড়ির মাঠ এলাকায় প্রধান জয়ন্ত শীলকে গালিগালাজ শুরু করেন। এরপর শুরু হয় হাতাহাতি। স্বামীর সঙ্গে ঝামেলার খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্ত্রী মল্লিকা সরকার। এখন মল্লিকা সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী প্রধান কোমরের বেল্ট খুলে তার উপরও চড়াও হন। এতে ওনাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এই ঘটনার পর স্থানীয় বিজেপি নেতা জয়ন্ত দেবনাথ ওনার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায়ের নজরেও নিয়েছেন কিন্তু দল ৩০ সেপ্টেম্বরের বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসে সমাধানের আশ্বাস দিলেও তা করা হয়নি। আর এখানেই মহিলা মেম্বার মল্লিকা সরকারের ক্ষোভ।
২ নং ওয়ার্ড মেম্বার মল্লিকা সরকার সম্পর্কে অভিযোগ না থাকলেও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ রয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান জয়ন্ত শীল। এবং এতে করে বারবার ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে পঞ্চায়েত প্রধানকেও। মেম্বার সম্পর্কে প্রধানের কোন অভিযোগ না থাকলেও তার স্বামীর যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। যার পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ সেপ্টেম্বর গালিগালাজের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে মেম্বার মল্লিকা সরকারের উপর মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যেহেতু বিজেপি দলের দুর্দিনের কর্মী মল্লিকা সরকার । এবং তার স্বামীর অপরাধ দিকটিও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। এদিকে প্রধান জয়ন্ত শীলের বক্তব্য এর নেপথ্য বিরোধী কংগ্রেসের একটা কৌশল রয়েছে। এর ফাঁদে পা দিয়েছেন মল্লিকা সরকার।