স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ নভেম্বর : বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের উদ্যোগে শনিবার রাজধানীর গুর্খাবস্তিস্থিত স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এক মেগা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। প্রদীপ প্রজ্জলন করে এই মেগা রক্তদান শিবিরের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। শিবিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে এইদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থাকলে সব কিছু সম্ভব।
করোনা কালে তা প্রমাণিত। হেপাটাইটিসের প্রকোপ যখন দেখা দিয়েছিল তখন প্রায় ১৭ বছর পর ভারতে টিকা এসেছিল। যাদের অর্থ ছিল তারা বিদেশে গিয়ে আগেই টিকা নিয়ে নিতো। যে কোন টিকা আবিষ্কারের অনেক বছর পর ভারতে এসেছে। কিন্তু করোনার টিকা ইউরোপীয় দেশ গুলিকে টেক্কা দিয়ে দেশীয় প্রযুক্তিতে ভারতেই তৈরি হয়েছে। এমনটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে প্রথম বার ভারতে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন বিরোধীদের নাম না করে বিরোধীদের সমালোচনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন করোনাকালে যখন করোনার টেস্ট শুরু হয়েছিল তখন প্রচার করা হয়েছিল প্রতি জনের করোনা পরীক্ষা করা হলে ২ লক্ষ টাকা করে রাজ্য সরকার পাবে।
কিছু কিছু জায়গায় লিফলেট ছাপিয়ে এমন প্রচার করা হয়েছে। এই বিভ্রান্তির মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীরা কঠোর ভাবে পরিশ্রম করে গেছে। যার ফলস্বরূপ বর্তমানে ত্রিপুরা কোভিড মুক্ত হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে ভারচুয়ালি বৈঠক করেছেন তখন তিনি রাজ্যের করোনার টিকা করনের বিষয়ে বলেছেন। ত্রিপুরা রাজ্য ছোট হতে পারে কিন্তু ব্যবস্থাপনা ভালো। একটা সময় ত্রিপুরা রাজ্যের মন্ত্রীদের রাজ্যের মধ্যে ঠিক ভাবে দেখা যেত না। বর্তমানে ধারাবাহিক ভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যে আসছে। প্রতিমা ভৌমিককে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কেউ তা কখনো কল্পনাও করতে পারে নি।
বর্তমানে জিবি হাসপাতালে জটিল অস্ত্রো পচার হচ্ছে। এটা কখনো কেউ কল্পনাও করতে পারে নি। অটল বিহারি বাজপেয়ি রিজিওনাল ক্যান্সার হাসপাতালে বর্তমানে বড় বড় অস্ত্র পাচার হচ্ছে। এটা কেউ কখনো কল্পনাও করতে পারেনি। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী মায়ের অস্ত্রোপচার হয়েছে অটল বিহারি বাজপেয়ি রিজিওনাল ক্যান্সার হাসপাতালে। বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন। ভরসা রাখতে হবে তবেই সব কিছু সঠিকভাবে হবে। মনে আত্মবিশ্বাস রেখে কাজ করলে তাতে সফলতা আসে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি চাকরিতে পদোন্নতির বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট যখন রায় দেবে তখন সেই রায় মেনে নেওয়া হবে। বর্তমানে এডহক পদ্ধতিতে প্রমোশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এস সি, এস টি-দের যেন কোনো লোকসান না হয় তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে করে বিভিন্ন দপ্তর গুলিতে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল তা দূর হয়েছে। এদিনের রক্তদান শিবিরে একজন দৃষ্টিহীন মহিলা স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন। এই নিয়ে তিনি ষষ্ঠবারের ন্যায় রক্ত দান করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন নিজের বক্তব্যে সে মহিলার কথা উল্লেখ করেন। এবং সেই মহিলা অষ্টমী সূত্রধরকে ধন্যবাদ জানান। শিবিরের উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, সম্পাদক তপন দাস সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। উদ্বোধনি অনুষ্ঠান শেষে মুখ্য মন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিরা রক্তদান শিবির ঘুরে দেখেন। এবং রক্তদাতাদের উৎসাহিত করেন।