Saturday, February 8, 2025
বাড়িরাজ্যদলগতভাবে ভোট দিতে যান, বাধা দেওয়া হলে নিজের সাহস দিয়ে রুখে দাঁড়ান...

দলগতভাবে ভোট দিতে যান, বাধা দেওয়া হলে নিজের সাহস দিয়ে রুখে দাঁড়ান : মানিক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ নভেম্বর : দলগতভাবে ভোট দিতে যান। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে মুখোমুখি হয়ে দাঁড়াবেন। পুলিশের উপর নির্ভর করবেন না। নিজে সাহসের উপর নির্ভর করে ভোট দিতে যান। শনিবার অরিয়েন্ট চৌমুহনিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, শান্তি সম্প্রীতি, উন্নত নাগরিক পরিষেবা এবং উন্নয়নের জন্য বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে সভায় একথা বলেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। এদিন বামপন্থী প্রার্থীদের নিয়ে প্যারাডাইস চৌমুহনী থেকে একটি মিছিল সংঘটিত হয়।

মিছিলের পর বামপন্থী মনোনীত প্রার্থীদের জয়যুক্ত করার জন্য অরিয়েন্ট চৌমুহনী এলাকায় একটি পথসভা সংঘটিত হয়। ত্রিপুরায় বিজেপি ফ্যাসিস্ট মানসিকতায় ত্রিপুরা একটি ল্যাব মনে করে ব্যবহার করছে বিজেপি। পুর এবং নগর ভোটে তারা ভয় পেয়ে গেছে। কারণ রাজ্যে সরকারটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে কোন কাজ তো করেই নি, শুধুমাত্র লুটপাট করে চলেছে। পুলিশ তাদের পুতুল হয়ে গেছে। তাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে এবং স্বৈরাচারী শাসন, একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে রাজ্যের মানুষের। কারণ বিজেপি রাজ্যের বিগত লোকসভা নির্বাচনেও ত্রিপুরার দুটি আসন রেগিং করে নিয়ে গেছে। সারা রাজ্যে একটি দুঃশাসন চলছে। আসন্ন নির্বাচনে ৭ টি জায়গায় মনোয়নপত্র জমা দিয়ে বামপন্থীরা। বিজেপি মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এ সাতটি জায়গায়।

 তাই বলা হচ্ছে রাজ্যের যেখানেই ভোট হচ্ছে সেখানেই বিজেপিকে উচিত জবাব দেওয়ার জন্য। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য বলে জানান। আর বিজেপির উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে রাজ্যে যাতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা মানুষের কাজ খাদ্যের ব্যবস্থা করা, মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করা এবং লজ্জা নিবারণের ব্যবস্থা করার জন্য। নয়তো সামনে বড় সংগ্রাম অপেক্ষা করছে। এই সংগ্রামে মানুষের মুখোমুখি হতে হবে বিজেপিকে। ঘরে ঘরে মানুষ প্রস্তুত হচ্ছে। শনিবার সভা থেকে এভাবেই বিজেপির উদ্দেশ্যে একের পর এক তীর ছুড়লেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। দেশ থেকে সব কিছু বিক্রি করে দিচ্ছে বিজেপি। মনে হয় যেন তারা নিজের মাথা বিক্রি করে দেবে। কোন যুক্তি মানছে না। পার্লামেন্টকে ছেড়া নেকড়ের মতো ব্যবহার করতে চাইছে। তারা ভাবছে এভাবেই চলবে। যারা ফ্যাসিস্ট সুলভ হয় তারা এমনই হয়। এই অবস্থায় চলতে দেওয়া যাবে না। কৃষকরা দীর্ঘ ১১ মাস ধরে আন্দোলন করছে।

 কৃষকদের দাবি যেহেতু পার্লামেন্ট দিয়ে তিনটি কৃষি আইন পাস হয়েছে, তাই পার্লামেন্ট দিয়েই কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। কৃষকদের আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতে আরএসএস -এর ৬৪ টি সংগঠনকে মাঠে নামায় বিজেপি। সাত শতাধিক কৃষক শহীদ হয়েছে। তারপরেও প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের সাথে কথা শুনার খবর নেই। এই আইন গুলি একচেটিয়া পুঁজিপতিদের জন্য তৈরি করেছে বিজেপি। স্বাধীনতার পর এত বড় ঐতিহাসিক আন্দোলন যে সে কখনো হয়নি। কিন্তু আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনকে সামনে রেখে ভয় পেয়ে কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। আসলে সেসব রাজ্যের গ্রাম পাহাড়ে যেতে পারছেন না বিজেপির মন্ত্রী, বিধায়ক ও সাংসদরা। তাই পরাজয়ের আতঙ্কে কৃষি আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি সরকার। কিন্তু দেশের সমীক্ষায় বলছে আগামী দিনের বিজেপি ৪ নম্বর দলে পরিণত হবে। নরেন্দ্র মোদী ভাবছেন আকাশের যুদ্ধবিমান দেখে পেটে ক্ষুধা মিটে যাবে। কিন্তু পেটের ক্ষুধা মিটবে না। তাই আগে খাদ্যের ব্যবস্থা করুন বলে জানান তিনি। এর থেকে বাদ যাচ্ছে না ত্রিপুরা রাজ্যও। দেশের সংবিধান ত্রিপুরা রাজ্যে অচল। বিরোধী দলে কাজের সুযোগ বিজেপি প্রথম থেকেই হরণ করে নিয়েছে। মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই। সবগুলি নির্বাচনে রাজ্যের প্রহসনে পরিণত হচ্ছে। এক দলীয় স্বৈরশাসন চলছে রাজ্যে। রাজ্যের স্বাধীনতা আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক অবস্থার উপর আঘাত নেমে এসেছে। করোনা পরিস্থিতিতে পরিস্থিতি আরও করুণ হয়ে উঠেছে। সারা রাজ্যের অলি গলি সর্বত্রে বেকার হয়ে মানুষ দোকান খুলছে। মানুষের রোজগার নেই। সন্ধ্যার পর দোকানদারেরা মুখ কালো করে দোকান তালা দিয়ে বাড়ি ফিরছে। রেগা এবং টুয়েপ কাজ নেই। যেসব কাজ বিগত দিনে হয়েছে সেসব কাজের মজুরি পর্যন্ত পাচ্ছে না শ্রমিকরা। উপজাতিদের মধ্যে বিভেদ বাধানোর চেষ্টা করছে। জাতি উপজাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছে। মানুষ পূর্বে সরকারের আমলে কখনো দেখেনি। ছোট্ট একটা অংশ বাদ দিলে গ্রাম পাহাড় সর্বত্র সরকারের ওপর ক্ষুদ্ধ, বিক্ষুব্ধ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য