স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ অক্টোবর : শনিবার সকালে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গনে সুর সম্রাট কুমার শচীন দেববর্মণের জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়। শচীন দেববর্মণের মর্মর মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে তাঁর মহান সঙ্গীতজ্ঞকে সম্মান জ্ঞাপন করা হয়। তাঁর স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। ভারতবর্ষকে তিনি সংগীতের যে জায়গায় দিয়ে গেছেন তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
আর সেই জায়গায় আগামী দিন কেউ নিয়ে যেতে পারবে বলে মনে হয় না। শচীন দেব বর্মনের সংগীতের প্রতি যে মোহ ছিল তাতে তিনি পড়াশোনা থেকে একটা সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন। এবং তিনি দেশের মহান বীরপুরুষদের সংস্পর্শে এসে গান তৈরি করেছিলেন। বাংলা ছবিতে তিনি খেতে সাথে কাজ করে গেছেন। এবং ৪০ শে দশকে তিনি চলচ্চিত্র জগতের পিঠস্থান মুম্বাইতে পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি এমন সুর এবং গান দেশবাসীকে দিয়েছেন, যা আজও অমর হয়ে আছে। তাই এই পৃথিবী গ্রহণ নক্ষত্রের মতো শচীন দেববর্মণ আগামী দিনে দেশবাসীর মধ্যে অমর হয়ে থাকবেন। বর্তমান সময়ে রাজ্য সরকার সুশাসন কর্মসূচী পালন করছে। তার দায়িত্বও তথ্য, সংস্কৃতি দপ্তরের উপর ন্যস্ত হয়েছে।
একটি দল ও পরিবার হিসাবে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই কর্মকান্ড গুলিকে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দপ্তর। গনতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকে যাতে সঠিক ভাবে মর্যাদা দেওয়া যায় তার কাজও আই সি এ দপ্তর নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এই কাজ আগামী দিনে অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, অধিকর্তা রতন বিশ্বাস, সোসাইটি ফর ম্যানেজমেন্ট অফ কালচারেল কমপ্লেক্সের চেয়ারম্যান কমল দে সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।