স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১ ডিসেম্বর : জিএসটি-র পুনর্বিন্যাসের নামে জালিয়াতি করেছে সরকার, গুরুত্বপূর্ণ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং ওষুধের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বাজারে। এই অভিযোগ তুললো প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রবীর চক্রবর্তী। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার দেশবাসীর সঙ্গে প্রতারণা ও জালিয়াতি ছাড়া আর উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু করেননি। এট শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষা করার জন্য রাজনৈতিক বদ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।
গত ১৫ ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য পুরোটাই যে ছিল বিহার নির্বাচনকে সামনে রেখে। প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম প্রতিশ্রুতির ছিল চলতি অর্থ বর্ষে আরো সাড়ে তিন কোটি চাকুরি, সাথে দেওয়ালির চমকপদ উপহার হবে জিএসটি-র পুনর্ববিন্যাস করা। চলতি বছরের ২২ শে সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কর বিন্যাসের বেশ কিছুদিন পূর্ব থেকে বাজারে পাল্লা দিয়ে মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে। ২২ শে সেপ্টেম্বরের পর মূল্যবৃদ্ধির কি হাল হয়েছে তা ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষদের অভিজ্ঞতার সাথে মোদীর ঘোষণার ফারাক রয়েছে। রাজ্যের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর মূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। তেমনি ভোজ্য তেল ছিল ১৮০ টাকা লিটার হয়েছে ২০০ টাকা, একটা পোল্ট্রি ডিমের দাম ছিল ৫-৬ টাকা হয়েছে ৯ টাকা, ২৫ কেজি চালের প্যাকেটের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, মুসুরির ডাল ছিল ১১৫ টাকা কেজি, বেড়ে হয়েছে ১৫০ টাকা। রাজ্যবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে মুদির জিএসটি হ্রাসের ঘোষণা দেশজুড়ে যে বাদ্য বেজে উঠেছিল আমাদের রাজ্যেও এক কদম এগিয়ে বিজেপি ও সরকার অভিনন্দন যাত্রার সাথে সাথে রাজ্যের মাননীয় ডাক্তার মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রী বিধায়ক নেতা, নেত্রীরা ২২শে সেপ্টেম্বর আগরতলা সহ গোটা রাজ্যেই বাজারে বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উৎসাহিত করার সাথে সাথে তাদের অনুভূতি জানার চেষ্টা করেছিল। অথচ আজ পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের রাশ টানতে ব্যর্থ হয় সরকার। যা এক প্রকার ভাবে সাধারণ মানুষের সাথে জালিয়াতি বলে মনে করে কংগ্রেস। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

