স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ সেপ্টেম্বর : বিধানসভায় ওয়াক আউটের পর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। তিনি বলেন,শুক্রবার বিরোধী দলের ১৫ জন বিধায়কের পক্ষ থেকে বিধায়ক তপন চক্রবর্তী মুলতবি প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে চান। তখন অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী বলেন মুলতবি প্রস্তাবের উপর আলোচনার কোন সুযোগ নেই। বিধানসভা অধিবেশনে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। তখন এ বিষয়গুলি চাইলে তুলতে পারবেন বিরোধী দলের বিধায়কেরা। তখন বিরোধী দলের বিধায়কেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বিধানসভায়। তারপর অধ্যক্ষ এক ঘেয়েমিভাবে কাজ করার চেষ্টা করেন।
শেষ পর্যন্ত অধ্যক্ষের একঘেয়েমি প্রতিবাদ জানিয়ে বিরোধী দলের বিধায়কেরা ওয়াক আউট করে। এদিন নোটিশ ছিল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রতিনিধি মূলক যে ডেপুটেশন গত ১৫ সেপ্টেম্বর ছাত্র যুবরা দিতে চেয়েছিলেন, তখন কেন তাদের উপর পুলিশ দিয়ে শক্তি ও বল প্রয়োগ করা হয়েছে। তার কোন জবাব দেন নি বিধায়ক মন্ত্রীরা। এই প্রশ্নগুলোই উত্তর বিধানসভা ছাড়া আর কোথাও জিজ্ঞাসা করার মতো জায়গা নেই। কারণ মন্ত্রী বিধায়কেরা বিধানসভায় বাইরে ও কথা বলতে চান না। তাই এই অগনতান্ত্রিক, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট সুলভ ভূমিকা নিয়েছে শাসক দল বিজেপি। এর থেকে বাঁচাতে এখন বিধানসভায় পর্যন্ত তারা এ ধরনের বিষয় সামনে আনছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে বিজেপি বহু প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারের প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু গত ৫০-৫২ মাসে দেখা গেছে ঠিক উল্টো পথে চলছে সরকার। তাই ছাত্র যুবদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষক নেই পঠন-পাঠন লাটে উঠেছে। নাম ডাকা ছাড়া আর কোন কিছুই হচ্ছে না, স্কুলগুলোতে। বিদ্যাজ্যোতি নামে গরিব ছেলে মেয়েদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে এই সরকার। বামফ্রন্ট যা করে গেছে বিজিপি তাই চালাতে পারছে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মানিক সরকার।