স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ সেপ্টেম্বর : সরকার ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক বেসরকারি করন করতে চাইছে। এমনটাই অভিযোগগুলো ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের এ আই আর আর বি ই এ, এন এফ আর আর বি ই, এন এফ আর আর বি ও, এন এফ আর আর আর বি এস যৌথভাবে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের শামিল হয় শুক্রবার। সরকার বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের আইপিও চালু করা হবে। এর মানে বেসরকারি দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক।
মূলত এর বিরোধিতা করে ব্যাংক কর্মীরা বিক্ষোভে সামিল হয় বলে জানায় যেদিন বিক্ষোভকারীরা। এছাড়াও আরো নয় দফা দাবি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম দাবি হলো ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংককে শক্তিশালী করতে জাতীয় গ্রামীণ ব্যাংক করতে হবে। এদিন ৪৩ টি গ্রামীণ ব্যাংকের ধর্মঘট করা হচ্ছে। পাশাপাশি আরো দাবি পর্যাপ্ত পরিমাণে কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে না ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকে। কর্মী সংকটের ফলে হয়রানির শিকার হচ্ছে গ্রাহকরা এবং সমস্যায় পড়ছে ব্যাংকের কর্মীরা। আর এভাবে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা করতে চাইলে গ্রামীণ অর্থনীতি কখনো উন্নত হবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বিক্ষোভকারী কর্মীরা। এদিন সকাল থেকে আগরতলা রাধানগর স্থিত ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কর্মীরা। কিন্তু ব্যাংক কর্মীদের ধর্মঘটের ফলে গ্রাহকরা ব্যাংকে এসে পরিষেবা না পেয়ে দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। তবে ব্যাংক ধর্মঘটে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে জনমনে। গ্রাহকদের অভিযোগ সামাজিক ভাতা সহ টাকা তুলতে এসে ব্যাংক ধর্মঘটের সম্মুখীন হয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। আসন্ন দুর্গো পূজোর মরশুমে ব্যাংক কর্মীদের একদিনের ধর্মঘট গ্রাহকদের জন্য বড় সমস্যা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।