স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ সেপ্টেম্বর : বিধানসভার নির্বাচনের পাঁচ মাস আগে জামাই আদর ছেড়ে বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মাকে বিধানসভা থেকে বরখাস্ত করলেন অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী। সাংবিধানিক সমস্ত রীতি নীতি মেনে অধ্যক্ষ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। রাজ্যের সিমনা বিধানসভা কেন্দ্রের আইপিএফটি বিধায়ক হয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন বৃষকেতু দেববর্মা। কিন্তু দলের প্রতি আস্থা হারিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা চেয়ে অধ্যক্ষের কাছে চিঠি প্রেরণ করেছিলেন।
কিন্তু জামাই আদর করে বহুবার বিধানসভায় অধ্যক্ষ বিধায়ক বৃষকেতুকে আসতে বললেও তিনি আসেননি। শুধু তাই নয় বরাবরই দলের সভাপতি নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মার কথা রাখেননি। দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ ছিল বৃষকেতু দেববর্মার বিরুদ্ধে। দীর্ঘ এক বছর কেটে গেলেও অধ্যক্ষ মশাই বৃষকেতু দেববর্মাকে নিয়ে এতদিন কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি। আর এখন যখন বিধানসভার নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়তেই বিধানসভার সদস্য থেকে বাদ দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমদোষে দোষী ছিলেন বিজেপি বিধায়ক আশিষ দাস। কিন্তু কোন রকম সময় না দিয়ে অধ্যক্ষ আশিষ দাসকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। পাশাপাশি প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এবং প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা একবারের জন্য ভাবা হয় নি। তারপর রাজ্যে উপনির্বাচন সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু ঝুলে থাকা হয়েছিল বৃষকেতু দেববর্মার বিধায়ক পদ। প্রশ্ন হচ্ছে কেন বৃষকেতু দেববর্মার বিধায়ক পদ খারিজ করতে এতটা সময় লেগে গেল অধ্যক্ষ মহাশয়ের। এর পেছনে কোন রহস্য রয়েছে তা নিয়েও জনমনে সৃষ্টি হয়েছে গুঞ্জন। যদি সিমনা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন সংঘটিত করা হতো, তাহলে শাসক দলের জন্য বড়সড়ো চ্যালেঞ্জ হয়ে যেত এই বিধানসভা কেন্দ্র। কারণ গত কয়েক মাসে দেখা গেছে শাসক প্রধান বিজেপি যতবারই সিমনা কেন্দ্রে দলের কর্মসূচি সংঘটিত করতে গেছে ততবারই ক্ষোভের মুখে পড়েছে। দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বিজেপির। এখন বিধানসভা নির্বাচনের আর পাঁচ মাস আছে। এর মধ্যে এই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেবে কিনা সেটা এখন বড় প্রশ্ন।