স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ সেপ্টেম্বর : কাটলো না ১০,৩২৩ -এর জট! দিনশেষে হতাশাগ্রস্থ হয়ে বৈঠক থেকে বের হয়ে আসলেন চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা। হুঁশিয়ারি দেয় বৃহত্তর আন্দোলনের। উল্লেখ্য, ১০,৩২৩ -এর শিক্ষক শিক্ষিকাদের নোটিশ করা হোক কেন টার্মিনেশন করা হয়েছে, নয়তো টার্মিনেশন লেটার দেওয়া হোক, আর না হলে চাকুরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলমুখী করার উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবিতে বুধবার শিক্ষা ভবনে আধিকারিকদের দ্বারস্থ হয় চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা। এবং পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এদিন সকাল থেকে শিক্ষা ভবন চত্বর ছিল রণংদেহি অবস্থা ছিল। চাকুরি হারানোর যন্ত্রণা বুকে চেপে সকাল থেকে সারা রাজ্যের কয়েক হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষা দপ্তরের সামনে এসে জমায়েত হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের বেরিকেড দিয়ে আটকে রাখা হয়।
পরবর্তী সময় পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী একটি প্রতিনিধি দল দপ্তরের অধিকর্তার সাথে দেখা করতে যান। কিন্তু অধিকর্তা চান্দ্রীনি চন্দন সময়সূচি বেঁধে দিয়ে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। দপ্তরের তিন আধিকারিকের সাথে বৈঠকে বসেন চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের ছয়জনের এক প্রতিনিধি দল। কিন্তু দুপুর ঘনিয়ে বিকেল হলেও বৈঠকে চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সন্তুষ্ট জনক জবাব দিতে পারেননি তিন আধিকারিক। শেষ পর্যন্ত বিকাল সাড়ে চারটার নাগাদ চাকরিচ্যুত শিক্ষিকদের ছয়জনের প্রতিনিধি দল অধিকর্তার কক্ষেই বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। দাবি জানান সদোত্তর না পেয়ে তারা কক্ষ ছাড়বেন না। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে তাদের বৈঠকের কক্ষ থেকে বের করে দেয়।
প্রতিনিধি দলের উপস্থিত অজয় দেববর্মা জানান, অধিকর্তা ১৪ সেপ্টেম্বর সদোত্তর দেবেন বলে আশ্বস্ত করে তিনি নিজেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। এদিন বৈঠকে আধিকারিক কোন সদুত্তর দিতে পারিনি চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। তারা বলছেন কোর্ট থেকে কোন এন এক্স আর ওয়ান তৈরি করা হয়নি। দপ্তর তৈরি করেছে। দপ্তর থেকে কোন টার্মিনেশন লেটার দেওয়া হয়নি। ২০১৯ সালে হাইকোর্ট এবং ২০২০ সালে সুপ্রিম কোর্ট থেকে কোন নোটিশ টার্মিনেট করা হয়নি। পরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে নাম দিয়ে নোটিশ করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের আর টি আই অনুযায়ী সকলের চাকরি যায়নি। কারণ এ মামলায় পক্ষভুক্ত ছিলেন মাত্র ৪৬২ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। সুতরাং দপ্তর তাদের সাথে প্রতারণা করে চলছে বলে অভিযোগ তোলেন চাকরিচ্যুত শিক্ষক অজয় দেববর্মা এবং কমল দেব।
পরবর্তী সময়ে দপ্তরের এক আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে জানান সুপ্রিম কোর্টের আর টি আই অনুযায়ী তাদের মেমো ইস্যু করা হয়েছিল। ১০,৩২৩ বলে কোনো মামলা হয়নি। কোন টার্মিনেশন এখন আর তাদের দেওয়া হবে না। কারণ তাদের আগে টার্মিনেশন লেটার দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময় শিক্ষা দপ্তর চত্বর বিক্ষোভ দেখায় চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা। তারা জানায় পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করা হবে খুব শীঘ্রই। এবং জানায় গত ৮ সেপ্টেম্বর যে বিবৃতি শিক্ষা দপ্তরের অধিকত্তাম মারফত জারি করা হয়েছে তাতে দপ্তরের আমলাদের ষড়যন্ত্র ছিল। তাদের চাকুরি যায়নি, এর সুষ্ঠু জবাব আগামী দিনে দপ্তরের আমলাদের যাওয়া হবে।