স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ সেপ্টেম্বর : গত ৫ সেপ্টেম্বর কলকাতায় সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা, রেজিস্টার, ট্যাকনিক্যাল পার্সনদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়। এই আলোচনা ছিল সৌহার্দ্য পূর্ণ পরিবেশে। দুই পক্ষের আলোচনা ক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় খুব শীঘ্রই রাজ্যে এস আর এফ টি আই-র একটি শাখা খোলার। এর জন্য ইতিমধ্যে ৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার অনুদান রাজ্য সরকার দপ্তরকে প্রদান করেছে প্রতিষ্ঠানটি খোলার বিষয়ে। পূর্ত দপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভেতরের কাজ সম্পন্ন করার জন্য। এস আর এফ টি আই-র প্রতিনিধি দল স্থান চিহ্নিত করার পর পরিকাঠামোগত ভাবে যে ধরনের পরামর্শ দিয়ে গেছেন সেই মোতাবেক কাজ হচ্ছে। শুক্রবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
দুই পক্ষের আলোচনা ক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে চলতি মাসের ২০ তারিখ প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে ভর্তির জন্য আবেদন জমা দেওয়ার পক্রিয়া। মোট চারটি বিষয়ে স্বল্প মেয়াদী কোর্স দিয়ে শুরু হয়ে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা। ২১ থেকে ৩০ অক্টোবর চলবে স্ক্রুটিনি ও ভর্তি। ৩১ অক্টোবর থেকে রাজ্যে পথ চলা শুরু করবে এস আর এফ টি আই। নজরুল কলাক্ষেত্রের একটি অংশে এই প্রতিষ্ঠানটি চালু হবে। ৭ নভেম্বর থেকে শুরু পুরো দমে শুরু হবে ক্লাশ। প্রথম কনভোকেশন হবে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। চারটি স্বল্প মেয়াদী কোর্সের বিষয়ে অবগত করেন মন্ত্রী। প্রস্তাবিত স্থানটি দেখে সন্তুষ্ট এস আর এফ টি আই-র প্রতিনিধিরা। পার্সবর্তি দেশ ও রাজ্যে চলচিত্র নিয়ে আলাদা চাহিদা রয়েছে। বিগত দিনে পরিকাঠামো গড়তে অনিহার কারনে এই চলচিত্র শিল্পের বিকাশ ঘটেনি রাজ্যে। আগামী দিনে এটা একটা উল্লেখ যোগ্য দিক হতে পারে রাজ্যের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে। বাড়বে রোজগারের ব্যবস্থা। স্ব নির্ভর হতে পারবে রাজ্যের মানুষ। স্বল্প মেয়াদী কোর্সের মাধ্যমে তার সম্ভবনা দিকটি যাচাই করা হবে। পরবর্তী সময়ে ডিপ্লোমা ও ডিগ্রি কোর্স চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। জল মিশনে রাজ্যে সাফল্যের হার ৫৪ শতাংশ। জাতীয় সাফল্যের থেকে বেশী। ৮০ হাজার সংযোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। মিশনমোডে কাজ চলছে। প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সংযোগ পেলে এই কাজ দ্রুত গতিতে শেষ হবে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।