স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ নভেম্বর : দেশে শুধু শ্রমিক-কৃষক আক্রান্ত নয়। দেশে সব অংশের মানুষ আক্রান্ত। এ দেশের সম্পদ মানুষের রক্ত দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। এখন এ সম্পদ দেশি-বিদেশিদের এবং পুঁজিপতিদের হাতে বিজেপি বিক্রি করে দিতে চাইছে।
তাই আবার ভারত বনধ ডাক দেওয়া হয়েছে। এর থেকে আর বড় অস্ত্র দেশবাসীর কাছে নেই। মঙ্গলবার ঠাকুর পল্লীতে প্রশান্ত কপালি স্মৃতি রক্ষা কমিটির আয়োজিত প্রশান্ত কপাল স্মৃতি মেধাবৃত্তি ২০২১ অনুষ্ঠানে এমনটাই অভিমত ব্যক্ত করেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। দেশের ও রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির উপর আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন দেশে কৃষক আন্দোলন চলছে। স্বাধীনতার পর সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের আন্দোলন কৃষক আন্দোলন। আগামী ২৬ নভেম্বর এক বছর পূর্তি হতে চলেছে। দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যের রাজধানীতে কৃষকদের কৃষি আইন প্রত্যাহারের জন্য জমায়েত হবে। আগরতলা শহরে সেই জমায়েত কতটা করতে দেবে সেটা এখন শাসক দলের বিষয়।
আগামী ২৫ নভেম্বর পুর নির্বাচন। কতটা সুষ্ঠ ভোট হবে, এবং মানুষ কতটা ভোট দিতে পারবে সেটা এখন বড় বিষয়। কিন্তু তাতে মানুষ যদি হুমকি শুনে ঘরে বসে থাকে তাহলে পাকা ধান ঘরে তুলতে পারবে না। তাই এই ফ্যাসিস্ট প্রচেষ্টা, স্বৈরাচারী প্রচেষ্টা, একদলীয় ব্যবস্থার প্রচেষ্টা এবং মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরী করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে প্রতিহত করতে হবে এবং শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে। এর জন্য কমিউনিস্ট হতে হবে এমন কোন কথা নয়। দলের বাইরে থেকেও এই লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করা অসম্ভব নয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। এদিন প্রশান্ত কপালির প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এদিন অনুষ্ঠানে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মন সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।