স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১২ অক্টোবর : মানবতার চরম অবক্ষয়ের ঘটনা সামনে এলো পানিসাগরে। ১৪ মাসের এক নিষ্পাপ শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তারই নিকট আত্মীয় এক দাদুর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের পাষন্ড নরপিশাচ দাদুর নাম জয়নাল উদ্দিন। বয়স ৪৪ বছর। বাড়ি পানিসাগর মহকুমার উত্তর পদ্মবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে।
জানা গেছে, শিশুটিকে ধর্ষণের পর মাটি চাপা দিয়ে রাখে অভিযুক্ত। এরপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সে। পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে রাত আটটা নাগাদ খেলার নাম করে নিয়ে যায় শিশুটিকে। দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে না ফেরায় সন্দেহ হয় শিশুটির পরিবারের লোকজনদের। খবর দেওয়া হয় পানিসাগর থানার পুলিশকে। রাত এগারোটার নাগাদ পুলিশের সহযোগিতায় বাড়ির পেছন থেকে জমিতে তল্লাশি চালিয়ে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় শিশুটির নিথর দেহ। পানিসাগর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পানিসাগর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল অভিযুক্ত জয়নাল উদ্দিন। রবিবার দুপুর দুইটার নাগাদ অসমের শ্রীভূমি জেলার নিলাম বাজার থেকে আটক হয় অভিযুক্ত। এদিকে পানিসাগর থানার এক বিশেষ টিম ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে ত্রিপুরায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। পানিসাগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাহুল বালহেরা জানিয়েছেন, ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। ধৃতকে আদালতে তুলে পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই হত্যা ও ধর্ষনের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এদিকে জানা গেছে, শিশুটি কয়েকদিন আগে মায়ের সঙ্গে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। পরিবারের কেউ কল্পনাও করতে পারেননি, নিজের আত্মীয়ের হাতে এমন নারকীয় পরিণতি ঘটবে তার। এই জঘন্য ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা পানিসাগর সহ উত্তর জেলা জুড়ে নেমে এসেছে শোক ও ক্ষোভের ছায়া। এলাকাবাসীর দাবি, অভিযুক্ত নরপিশাচের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

