Thursday, November 13, 2025
বাড়িরাজ্যপেনশন থেকে বঞ্চনার শিকার এডিসি প্রশাসনের অধীন কর্মচারীরা, মুখ পুড়ল এডিসি প্রশাসনের

পেনশন থেকে বঞ্চনার শিকার এডিসি প্রশাসনের অধীন কর্মচারীরা, মুখ পুড়ল এডিসি প্রশাসনের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ৮ অক্টোবর :জীবনের ষাট বছর পর্যন্ত এডিসি-র উন্নয়নের জন্য কাজ করে ৩৯৬ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীর পেনশন বঞ্চনার শিকার হয়ে মন্ত্রী নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে হচ্ছে। পরবর্তী সময় আইনের দ্বারস্থ হয়ে ২৫৩ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী পেনশনের অধিকার ফিরে পেলেও ১৪৩ জন এখনো বঞ্চিত। তাই পেনশন না পাওয়া পর্যন্ত ১৪৩ জনকে সহযোগিতা করতে হবে। বুধবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে টি টি এ এ ডি সি পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে টিপল ইঞ্জিন সরকারের তথাকথিত সুফল তুলে ধরে এই দাবি করলেন নেতৃত্ব।

 বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তারা জানান, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে গত আগস্ট মাস পর্যন্ত ৩৯৬ জন কর্মচারী এ ডি সি প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করে অবসরে এসেছেন। নিয়ম অনুযায়ী কর্মচারীদের পেনশনে আসার ৪৫ দিনের মধ্যে সমস্ত পাওনা মিটিয়ে দিতে হয়। কিন্তু সেই নিয়ম কানুন কিছুই মানছে না এডিসি প্রশাসন। এডিসি প্রশাসনের অধীন কর্মচারীরা পেনশন আসার পর যখন বঞ্চনার শিকার হয় তখন তারা প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী দারস্থ হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন সরকারের এত পয়সা নেই তাদের পেনশন মিটিয়ে দেওয়ার। তারপর অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মচারীরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান তারা জীবনের ৬০ বছর পর্যন্ত রাজ্যের এডিসি উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। এখন তাদের পেনশন মিটিয়ে না দিলে তারা জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে চিকিৎসা পরিষেবা পর্যন্ত নিতে পারবে না। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, তারা চাইলে আইনের দ্বারস্থ হতে পারেন। কিন্তু সরকার তাদের পেনশন মিটিয়ে দিতে পারবে না।

 তারপর তারা টি টি এ এ ডি সি প্রশাসনিক আধিকারিকের দ্বারস্থ হলে তাদের বলে দেওয়া হয় যেখানে মুখ্যমন্ত্রী কোন সহযোগিতা করতে পারেনি সেখানে তারা কিভাবে সহযোগিতা করবেন? নিরাশ হয়ে গত চার জুলাই তিপরা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনের দ্বারস্থ হলে অবসরপ্রাপ্তদের আশ্বস্ত করা হয় তিনি মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। এক মাসের মধ্যে সমস্ত সমস্যার সমাধান করে তাদের পেনশন মিটিয়ে দেওয়া হবে। তারপর এক মাস হতে ক্লান্ত হয়ে গেলেও কোনরকম আশার আলো দেখতে না পেয়ে আইনের দ্বারস্থ হন বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা। তারপর ২৫৩ জনের পেনশন কার্যকর হলেও ১৪৩ জনের পেনশন কার্যকর হওয়ার কোন নাম গন্ধও নেই। শুধু তাই নয়, ডাইহর্নেস ৫৫ জনের মধ্যে মাত্র ৩৫ জনের পেনশন কার্যকর হয়েছে। এভাবে তাদের বঞ্চনার শিকার করে চলেছে টিপল ইঞ্জিন সরকার। অথচ রাজ্যের এডিসি প্রশাসনের নেতা বাবুদের বিলাসবহুল গাড়ি এবং পোশাকে চাকচিক্য দিন দিন বেড়ে চলেছে। কিন্তু যারা জীবন যৌবন এডিসি-র উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন এবং মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছেন তাদের বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে। জীবনের শেষ সময়ে এসে চিকিৎসা পর্যন্ত করার মত তাদের হাতে পয়সা নেই।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য