স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ আগস্ট : ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ ১৭ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় শনিবার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। প্রদীপ প্রজ্জলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন তিনি। অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রেখে বলেন, ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজে এইমস হাসপাতাল করা যায় কিনা সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী সাথে কথা বলা হবে। না হলে এইমস হাসপাতালের ধাঁচে করা যায় কিনা সেদিকে চেষ্টা করা হচ্ছে।
তাহলে রাজ্যের মানুষ আরো বেশি উন্নত পরিষেবা পাবে। পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্যে একটি ডেন্টাল কলেজ খোলার পরিকল্পনা নিয়ে ইতিমধ্যে সমস্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ এবং ডাঃ ব্রাম টিচিং হাসপাতাল-এর জমি সরকারী ছিল। এই জমি সোসাইটিকে হস্তান্তর করা হয়নি। লিজ দেয়নি। মুখ্যমন্ত্রী না থাকার পরেই এই কাজ করতে হয়েছে। আর টি পি সি – টেস্টিং মেশিন, অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর ক্ষেত্রেও উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান তিনি। টি এম সি-তে কেবল নিলেই চলবে না। তাকে কিছু দিতে হবে। এগিয়ে আসতে হবে মেডিক্যাল কলেজের সকলকেই। আগে টি এম সি-কে ডাস্টবিন হিসাবে কুটুক্তি করা হত। এখন এই হাসপাতাল প্রমান করে দিয়েছে কোন অংশের কম নয়। সরকারী ভাবে যা সহায়তা প্রয়োজন তা করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজটি আরো কিভাবে উন্নত করা যায় সেদিকে বদ্ধপরিকর সরকার। ত্রিপুরায় মেধাবী ছাত্র ছাত্রীর অভাব নেই। শুধুমাত্র তাদের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার। তাহলে তারা সারাদেশে ছাত্রছাত্রীদের সাথে এগিয়ে যেতে পারবে এবং তারা উদ্ভূত হয়ে শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার জন্য বড় ভূমিকা পালন করবে। এবং কলেজটি বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব সরকারের বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। ভারতবর্ষের অন্যান্য স্থানের চাইতে কোন অংশে কম নয় ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ এবং ডাঃ ব্রাম টিচিং হাসপাতাল-এর ছাত্র ছাত্রীরা। প্রতিভার কম নেই। কেবল সুযোগ দিতে হবে। প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে যারা পুরস্কৃত হয়েছেন তাদের অধিকাংশই মেয়ে। এটা গর্বের।
রাজ্য সরকার মহিলাদের প্রধান্য দিয়ে সরকারী চাকুরীর ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ রেখেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। বই কেন্দ্রীক হয়ে থাকলে চলবে না। সমাজের জন্য কিছু করতে হবে। নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এভাবেই শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে উঠবে। ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ এবং ডাঃ ব্রাম টিচিং হাসপাতাল-এর বিভিন্ন সমস্যা গুলি নিয়ে বৈঠক করার প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী টি এম সি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানান একটি ই বুক প্রকাশ করার জন্য। এতে এই হাসপাতালের জন্য কারা কারা কি কি করে গেছেন সেই সম্পর্কে তথ্য থাকবে। আর এই তথ্য আগামী দিনের জন্য কাজে আসবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেই সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন বলে জানান তিনি। এদিন মেডিক্যাল কলেজের এম বি বি এস- পরীক্ষায় প্রথম , দ্বিতীয় ও তৃতিয় স্থানাধীকারিদের পুরস্কৃত করা হয়। উপস্থিত ছিলেন সি.ই.ও স্বপন সাহা, ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাক্তার অরিন্দম দত্ত, নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ অমিতা রায়, ডাঃ ব্রাম টিচিং হাসপাতাল-এর মেডিকেল সুপার ডাক্তার জয়ন্ত কুমার পোদ্দার, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ দেবশিস বসু, ডেপুটি মেডিকেল সুপার ডাক্তার তমাল চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা।