স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ আগস্ট : গাঁজা রপ্তানি কিছুতেই রুখতে পারছে না রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। রাজ্য পুলিশের কঠোর নজরদারির অভাবে ত্রিপুরার সাথে বহির্রাজ্যের পাচারকারীদের রমরমা ব্যবসা রয়েছে। যার ফলে ত্রিপুরার বিভিন্ন থানার গেটের সামনে দিয়ে এবং নাকা পয়েন্ট অতিক্রম করে লরি চালকরা গাঁজা পাচার করলেও পুলিশের হুঁশ ফিরছে না। শনিবার দুপুরে ত্রিপুরার বহু থানার অতিক্রম করে গিয়ে আসাম পুলিশের হাতে আটক হল গাঁজা বুঝাই লরি। যদিও এদিন আসাম চোরাই বাড়ি থানার পুলিশ এবং ত্রিপুরা চোরাই বাড়ি থানার পুলিশ দুই লরি থেকে প্রায় এক টনের অধিক গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। আটক হয়েছে মোট চারজন।
উল্লেখ্য এদিন দুপুরে অসম চুরাইবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ PB 01 AN 5971 নম্বরের গাড়ি আটক করে তল্লাশি করতেই গাড়িতে থাকা ফলের ট্রে থেকে ৩৫ টি প্যাকেটে মোট সাতশো কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় সত্তর লক্ষ টাকা বলে জানায় পুলিশ। পুলিশ গাড়ির চালক হেমরাজ শিং ও সহচালক সন্তোষ কুমারকে আটক করেছে। এন ডি পি এস ধারা মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। চালকের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে এবং সহ চালকের বাড়ি রাজস্থানে।
চালক জানায় সে এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে আগরতলা থেকে এই গাঁজা গুলি শিলং এর উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে ত্রিপুরা রাজ্যের এতগুলি থানা অতিক্রম করছে গাজা পাচারকারীরা। শেষ পর্যন্ত ত্রিপুরার সীমান্ত অতিক্রম করে আসাম পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। প্রশ্ন উঠছে শুরু করেছে পুলিশ বাবুদের সাথে গাঁজা পাচারকারীদের কোন গোপন পূজা করা রয়েছে কিনা?
অপরদিকে, একইভাবে ত্রিপুরা চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ গোপন খবরের ভিত্তিতে HP 31 C-5226 নম্বরের রাবার বোঝাই লরি আটক করে, রাবার শিডের ভেতরে থাকা প্রায় ৪০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। আটককৃত গাঁজার বাজার মূল্য চল্লিশ লক্ষ টাকা বলে জানান মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। এক্ষেত্রেও চালক শ্রীধর শ্রীকান্ত ও সহচালক অনিল কুমারকে আটক করা হয়েছে। আটক দুজনের বাড়ি হিমাচল প্রদেশে। তাদের বিরুদ্ধেও এনডিপিএস আইনে মামলার রুজু করেছে চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ। এখন দেখার বিষয় গাঁজা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।