স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ আগস্ট : সি.বি.আই এবং ই.ডি -র অপব্যবহার করে বিরোধী মুক্ত দেশ গড়তে চাইছে বিজেপি। এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করতে হবে। বুধবার আগরতলা টাউন হলে সি.পি.আই.এম রাজ্য কমিটির আলোচনা সভায় বক্তব্য রেখে এমনটাই অভিযোগ তুললেন সি.পি.আই.এম -এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। এই বিজেপি সরকারের আমলে লড়াই করে একদিকে যেমন নিজেকে বাঁচাতে হবে, অপরদিকে ভারতীয় বাঁচাতে হবে। ভবিষ্যতে ত্রিপুরা এবং ভারতকে এই ফ্যাসিস্ট সুলভ সরকার থেকে মুক্তি দিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা, সংবিধান এবং মানবাধিকার বাঁচিয়ে পরিবর্তন আনতে হবে বলে আওয়াজ তুলেন ইয়েচুরি।
এদিন সরকারের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, দেশের সম্পত্তি মালিক হলো জনগণ। কিন্তু দেখা গেছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে জনগণের সম্পত্তি একের পর এক বিক্রি করে দিচ্ছে। এর পেছনে তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো পুঁজি-পতিদের স্বার্থ রক্ষা করা বলে অভিযোগ তুলেন তিনি।
বিজেপির নেতৃত্বদের উত্থাপিত বক্তব্য মানুষের কাছে গৃহীত হচ্ছে না। তাই বিজেপি হতাশ হয়ে নিম্নলিচক কথা বলছে। এগুলি জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না বামফ্রন্ট। সভায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে এ কথা বললেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। তিনি বলেন, বিজেপি যেই প্রলোভনের চাদর পেতেছিল তার ধারে কাছে নেই, ফলে মানুষের মধ্যে এ সরকারের উপর দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে। তাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সংবিধান রক্ষা করার জন্য লড়াইয়ের পাশাপাশি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে রাস্তায় নিয়ে আসতে হবে। এর জন্য কর্মীদের ঘরে ঘরে পৌঁছতে হবে বলে কর্মীদের প্রতি আহ্বান রাখেন বিরোধী দলনেতা। সুতরাং এই জনগণের দুশমন সরকারকে উৎখাত করতে হবে। আর এটাই গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার বলে অভিমত ব্যক্ত করলেন শ্রী সরকার। তিনি আরো বলেন, সারা রাজ্য জুড়ে চলছে লুট। স্তব্ধ হয়ে পড়েছে উন্নয়নমূলক কাজ। এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সবকিছু ভেঙে পড়েছে। পানীয় জলের তীব্র সংকট। বিদ্যুৎ পরিষেবা ভেঙে পড়েছে। এগুলি নিয়ে মানুষ প্রতিদিন বিক্ষোভে সামিল হচ্ছে। তাই মানুষের এই জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে রাস্তায় নামা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই বলে জানান মানিক সরকার। এদিনে আয়োজিত সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম রাজ্য কমিটি সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, বামফ্রন্টের আহবায়ক নারায়ণ কর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।