স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৫ সেপ্টেম্বর : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ৪ বড়জলা মন্ডলের উদ্যোগে সেবা পাক্ষিক কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি এদিন দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ দাস, বিজেপির সদর গ্রামীণ জেলার সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র ভৌমিক, বড়জলা মন্ডলের সভাপতি রাজীব সাহা সহ অন্যান্য।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব বলেন পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় নামে পণ্ডিত নন। তিনি কাজেও পণ্ডিত ছিলেন। তিনি গরিব ঘরের সন্তান ছিলেন। ছোট বেলায় ওনার মা বাবার মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে সেই পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মদিন পালন করে সকলে। দীনদয়াল উপাধ্যায়ের আদর্শে বর্তমানে বিজেপি দল চলে। এইদিনের রক্তদান শিবিরে বহু রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্তদান করে উৎসাহের সাথে। সংসদ বিপ্লব কুমার দেব বক্তব্য রেখে বলেন, ২০১৪ সালের আগে দেশ এমন জায়গায় কেন ছিল সে বিষয় নিয়ে কেউ আলোচনা করে না সাংগঠনিক বৈঠকে। সরকার আছে বলে কাউন্সিলর, বিধায়ক হতে হবে বলে চিন্তা ভাবনা রাখেন। এটা ঠিক নয়। আরো বলেন , নেতা হওয়া এত সোজা নয়। নেতা হওয়ার জন্য নেতৃত্বের যোগ্যতা থাকতে হয়। এবং বিশেষ করে লেনদেনের মাধ্যমে নেতৃত্ব হওয়া যায় না। মানুষের সাথে এক মানসিকতার মাধ্যমে এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কে মাধ্যমে নেতৃত্ব হওয়া যায়। তাদের বুঝতে হবে ভারতে জিডিপি নিচে নামিয়ে এবং বিদেশি মুদ্রা স্বর্ণের কোঠায় এনে সরকার থেকে বিদায় নিয়েছিল কংগ্রেস।
কিন্তু ২০১৪ সালে যখন সরকার পরিবর্তন হয় ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় তখন বিদেশি ভান্ডার পুনজ্জীবিত হয়। এদিন গান্ধী পরিবারকে কটাক্ষ করে বিপ্লব কুমার দেব বলেন, দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি জিএসটি চালু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এতে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী রাজি ছিলেন না। কারণ করের উপর কর নেওয়া ইংরেজদের স্বভাব এবং গান্ধী পরিবারের স্বভাব। ইংরেজ এবং গান্ধীব পরিবারের মধ্যে কোন তফাৎ নেই। তিনি কটাক্ষ করে আরো বলেন, ইংরেজরা ভারতের নয়, তারা সাত সমুদ্র পার হয়ে এসেছিল। তাই তারা তো শোষণ করবেই। নাম না করে তিনি বলেন যে এই দেশের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছে সেই ভারতবর্ষকে সবচেয়ে বেশি শোষণ এবং আটকানোর ব্যবস্থা করেছে। তারা ভারতবর্ষকে ভালোবাসে না। তারা চায় সকলে রাস্তায় নেমে হাঙ্গামা করুক। এদিন রক্তদান শিবিরে রক্তদাতাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। পরবর্তী সময় সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব আগরতলা পুর নিগমের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য প্রয়াত কর্পোরেটর অভিজিৎ ঘোষের বাড়িতে যান।
প্রয়াতের স্মৃতিতে গভীর শোক ব্যক্ত করার পাশাপাশি সমবেদনা জ্ঞাপন করলেন পরিবার- পরিজনদের প্রতি।

