স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ আগস্ট : রাজ্যের ৭৩.৬৪ শতাংশ বনাঞ্চল রক্ষার্থে বন দপ্তর বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করছে। ৮ টি বন জেলা, ১৭ টি মহকুমা, ৪ টি বন্যপ্রানী অভয়ারান্য, ৫৯ টি ফরেস্ট রেঞ্জ, ২৮৩ টি ফরেস্ট বিট –এ ভাগ করা হয়েছে এই বনভূমি দেখভালের জন্য। শনিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান মুখ্য বন সংরক্ষক কে এস শেঠি। ছিলেন অতিরিক্ত মুখ্য বন সংরক্ষক আর কে শামল।
২০২২-২৩ সালে ৯৫৬৩.৫ হেক্টর এলাকায় নতুন করে বন সৃজন করা হয়েছে। ২০২২-২৩ সালের মধ্যে ৬২৭ টি চেক ডেম করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। স্কুল নার্সারি যোজনার মাধ্যমে বাছাই করা স্কুল গুলিতে ১০০০ চারার সঠিক পরিচর্যার জন্য ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। নগর বন যোজনার মাধ্যমে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে চারটি স্থান ধর্মনগর, কুমারঘাট, তেলিয়ামুড়া, উদয়পুরে নগর বন গড়ার জন্য ৪ লক্ষ টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। ব্যাপক ভাবে চারা গাছ রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্য বন সংরক্ষক কে এস শেঠি। আজাদিকা অমৃত মহোৎসব উপলক্ষ্যে রান ফর গ্রীন ত্রিপুরার আয়োজন করা হয়। এছাড়া প্রতিবছর রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বন ও বন্যপ্রানীকে কেন্দ্র করে উৎসবের আয়োজন করা হয়। সিপাহীজলা অভয়ারান্যের উন্নতির স্বার্থে অর্থ প্রদান করা হয়েছে। এগুলির কাজ চলছে। দপ্তরের ১৭৫ জনের পদোন্নতি হয়েছে। ১৬ জনকে টি এফ এস- গ্রেড ওয়ান ও গ্রেড টু-তে পদন্নোতি দেওয়া হয়েছে। ২৭ জন ফরেস্ট গার্ডের নিয়োগ করার পক্রিয়া চলছে। ৬ জন টি এফ এস নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ডাই ইন হারনেসে ৭ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানান মুখ্য বন সংরক্ষক কে এস শেঠি।