স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ আগস্ট : সারা দেশে মধ্যে প্রথম মহিলা পরিচালিত কৃষি মহকুমার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। তিনি বুধবার উদয়পুরের টেপানিয়ায় এর শুভ উদ্বোধন করেন। এই কৃষি মহকুমা কার্যালয়ের কাজকর্ম ১০০ শতাংশ মহিলাদের দিয়েই পরিচালিত হবে। রাজ্য সরকার রাজ্যের মহিলাদের ক্ষমতায়নের যে প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে এই কর্মসূচি এরই অন্যতম প্রকৃষ্ট উদাহরণ বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাদের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন কেবল ত্রিপুরা নয়, ভারতবর্ষে প্রথম মহিলা দ্বারা পরিচালিত কৃষি মহকুমা কার্যালয়ের সূচনা হয়েছে। এটা আগামী দিনে সমগ্র দেশের জন্য মানদন্ড হয়ে দাঁড়াবে। মহিলাদের চাকুরীর ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ রেখেছে রাজ্য সরকার। এবার মহিলাদের স্ব শক্তি করনের প্রমান রাখা গেছে। পরে টেপানিয়া স্কুল প্রাঙ্গণে হয় মূল অনুষ্ঠান। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন কৃষকরা হচ্ছে এই দেশের মেরুদন্ড। তাই কৃষকদের সমস্যার সমাধান করে মান উন্নয়ন করতে সরকার কাজ করে চলেছে। কোভিডের কারনে অন্যান্য দেশের আর্থিক অবস্থা খারাপ হলেও কৃষি নির্ভর ভারতের অর্থ নীতিতে তা প্রভাব ফেলতে পারেনি বলে জানান তিনি। এই কৃষি মহকুমার অধীন ২১ গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভিলেজ কমিটি রয়েছে। ৭ টি রয়েছে এগ্রি সাব স্টোর। তারা সরাসরি লাভবান হবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই ক্ষেত্রে মহিলারাই ১০০ শতাংশ সফল হবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষকদের স্বার্থে কাজ করছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। একাধিক প্রকল্পের বাস্তবায়ন ঘটানো হয়েছে। সেই সমস্ত প্রকল্প গুলি তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার কাজ মার্চ মাসের আগেই সম্ভব হবে। আগের সরকার শ্রমিকদের নামে কুম্ভীরাশ্রু ফেলত। কিন্তু বর্তমান সরকার প্রকৃত অর্থে কৃষকদের স্বার্থে কাজ করে দেখিয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায়, মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া সহ অন্যান্যরা।
পরে মুখ্যমন্ত্রী উদয়পুরের মাতা ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। রাজ্যবাসীর সার্বিক মঙ্গল কামনা করেন। এর পাশাপাশি প্রসাদ প্রকল্পে ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের উন্নয়নমূলক কাজ সরজমিনে পরিদর্শন করেন এবং কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন। মন্দিরের উন্নয়নমূলক কাজের গতি আরো কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন মুখ্যসচিব জে কে সিনহা সহ প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।