স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ আগস্ট : আজাদীকা অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি। এই কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে একাধিক স্থানে জাতীয় পতাকার অবমাননা করতে দেখা যায় অসচেতন মানুষদের। এই চিত্র ফুটে উঠতেই শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। উল্লেখ্য, আজাদী কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসাবে গোটা দেশে পালিত হচ্ছে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে দেশের প্রতিটি জায়গায় শ্রদ্ধার সহিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। কিন্তু তেলিয়ামুড়ার বিভিন্ন এলাকায় এবং একাংশ সরকারি দপ্তরে দেখা গেল জাতীয় পতাকার অবমাননা। রবিবার তেলিয়ামুড়া ইচারবিল স্থিত সীমাবদ্ধ ক্লাবে প্রত্যক্ষ করা যায় ছেঁড়া এবং নোংরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা ঝড় বইছে স্থানীয়দের মধ্যে।
অপরদিকে তেলিয়ামুড়া স্থিত একটি বাইকের শোরুমের ছাদে ধর্মীয় পতাকাকে উচ্চ স্তরে রেখে দেশের জাতীয় পতাকাকে নিচে লাগানো হয়। এব্যাপারে ওই শোরুমের এক কর্মীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি অপকটে স্বীকার করেন, আগে থেকেই ধর্মীয় পতাকা এই স্থানে লাগানো ছিল। এছাড়া, বাইশঘড়িয়া এলাকার জনৈক এক বাড়িতে প্রত্যক্ষ করা গেল শৌচালয়ের ছাদে লাগানো হয়েছে দেশের জাতীয় পতাকা।
পরবর্তী সময় অবশ্য সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে হতচকিয়ে উঠে তড়িঘড়ি শৌচালয়ের ছাদ থেকে জাতীয় পতাকা নিচে নামিয়ে নেয়। অপরদিকে তেলিয়ামুড়ার এক সরকারি দপ্তরেও প্রত্যক্ষ হলো জাতীয় পতাকার অবমাননার দৃশ্য, তেলিয়ামড়ার পুরাতন টি.আর.টি.সি সংলগ্ন এলাকায় স্থিত দ্য ইন্সপেক্টর অফ লিগেল মেট্রোলজি অফিসে। প্রত্যক্ষ করা যায়, প্রশাসনিক নির্দেশ অনুযায়ী নিয়ম রক্ষার্থে উত্তোলন করা হয় ছেড়া জাতীয় পতাকা। যা প্রত্যক্ষ করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছিঃ ছিঃ রব উঠছে। পাশাপাশি আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের নগ্ন চিত্র উঠে আসে তেলিয়ামুড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে। অনুষ্ঠান শেষে নিত্য করছে ছাত্রছাত্রীরা। দিনটির গুরুত্ব সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের অবগত করতে কোন ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি শিক্ষক শিক্ষিকাদের। যখন ছাত্রছাত্রীরা বাইরে মাঠে নিত্য করতে ব্যস্ত ছিলে তখন স্টাফ রুমে বসে গল্প করছিলেন শিক্ষক শিক্ষিকা। এমনটাই অভিযোগ সচেতন অভিভাবক মহলের। এমনকি ত্রিপুরা স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের আগরতলার প্রধান শাখায় স্টিক থেকে খুলে মাটিতে পড়ে আছে। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কোনো হেলদুল নেই। ব্যাংক তালা দিয়ে বাড়িতে শীতঘুম ঘুমাচ্ছেন ব্যাংকে কর্মীরা। ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জাতীয় পতাকার যদি সঠিক মর্যাদায় বহন করতে না পারে তাহলে ধরে বেঁধে হরিনাম নেওয়ার কি প্রয়োজন।