স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১২ সেপ্টেম্বর : রাষ্ট্রবাদী শ্রমিক সংঘ অনুমোদিত বাস জীপ চালক সংঘের নেতৃত্বের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ। মূলত বাস জীপ চালক সংঘের পশ্চিম জেলা ও গোমতী জেলার নেতৃত্বদের মধ্যে ঝামেলাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার আগরতলা-উদয়পুর সড়কে বাস পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে যায়। এইদিন দক্ষিন কিংবা গোমতী জেলার কোন বাস আগরতলায় আসে নি।
অপরদিকে যে সকল বাস আগরতলা থেকে দক্ষিন জেলার উদ্দেশ্যে যায়, সেই সকল বাসকে উদয়পুরে আটকে দেওয়া হয়। বাস জীপ চালক সংঘের গোমতী জেলার নেতৃত্ব জানান বিগত দুই মাস ধরে আগরতলায় তাদেরকে হয়রানি করা হয়। যার কারনে বাস চালক কিংবা মালিক সকলে ক্ষতির সন্মুখিন। তাদের অভিযোগ উদয়পুর কিংবা দক্ষিন জেলার বাস গাড়ি গুলি নাগেরজলা স্ট্যান্ড থেকে ছাড়ার পর নাগেরজলা স্ট্যান্ডের মুখে আসার সাথে সাথে ট্রাফিক পুলিশ তাদেরকে হয়রানি করে। ইচ্ছাকৃত ভাবে তাদের গাড়িকে জরিমানা করা হয়।
কিন্তু আগরতলার বাস গাড়ি গুলিকে হয়রানি করা হয় না। বৃহস্পতিবার উদয়পুরের একটি বাস গাড়িকে নির্ধারিত সময়ে ছাড় পত্র প্রদান করা হয় নি নাগেরজলা স্ট্যান্ড থেকে। বাস গাড়ির চালক এই বিষয়ে জানতে নাগেরজলা স্ট্যান্ডের নেতৃত্বদের কাছে যাওয়ার পর ঐ চালককে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন উদয়পুরের নেতৃত্বরা। এইদিকে পশ্চিম জেলা বাস জীপ চালক সংঘের নেতৃত্ব পাল্টা অভিযোগ করেন আগরতলা থেকে বাস গাড়ি দক্ষিন জেলায় যাওয়ার পর ফিরে আসার সময় উদয়পুরে তাদেরকে হয়রানি করা হয়। আগরতলার বাস গাড়ি গুলিকে উদয়পুরে যাত্রী তুলতে দেওয়া হয় না। পশ্চিম জেলার নেতৃত্ব জানান উদয়পুরের এক নেতৃত্ব এই সকল কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার ঐ নেতৃত্বের একটি গাড়িকে নাগেরজলা বাস স্ট্যান্ড থেকে নির্ধারিত সময়ে ছাড় পত্র প্রদান করা হয় নি। পরবর্তী সময় পশ্চিম জেলা বাস জিপ চালক সংঘের প্রাক্তন সভাপতির নির্দেশে সেই বাস গাড়িটিকে ছাড় পত্র দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু গাড়ি চালক গাড়ি নিয়ে যান নি। শুক্রবার আগরতলা থেকে বাস গাড়ি যাত্রী নিয়ে দক্ষিন জেলার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় সেই সকল বাস গাড়িকে উদয়পুরে আটকে দেওয়া হয়। পশ্চিম জেলার বাস জিপ চালক সংঘের নেতৃত্ব জানান এই বিষয়ে তারা রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন।
উভয় পক্ষের বক্তব্য থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট ঝামেলা মূলত তাদের সংগঠনের নেতৃত্বদের মধ্যে। আর তাদের নিজেদের ঝামেলার কারনে এইদিন বাস পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে যায়। যার কারনে হয়রানির শিকার হতে হয় নিত্য যাত্রীদের। প্রশ্ন হচ্ছে তাদের নিজেদের ঝামেলার কারনে কেন নিত্য যাত্রীদের হয়রানির শিকার হতে হবে। নিত্য যাত্রীরা এইদিন যে হয়রানির শিকার হয়েছে তার দায় কে নেবে।

