স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১০ সেপ্টেম্বর : বিষধর সাপের কামড়ে মৃত্যু মহিলার। মৃত রোগীর পরিবারের অভিযোগ গোমতি জেলা হাসপাতালে সাপের কামড়ের প্রতিষেধক দিতে দেরী করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। যার কারনে মৃত্যু হয়েছে মায়া রাণী সূত্রধরের। গত ৮ সেপ্টেম্বর গোমতি জেলা হাসপাতালে সাপের কামড়ের অ্যান্টি-ভেনম সিরাম মজুত ছিল না। জেলা হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ডক্টর কাজল দাস বলতে পারছেন না বিষধর সাপের কামড়ের প্রতিষেধক হাসপাতালে আছে কিনা।
ডক্টর কাজল দাস বলেন, গোমতি জেলা হাসপাতালে সাপের কামড়ের অ্যান্টি-ভেনম সিরাম যথেষ্ট পরিমাণ মজুদ আছে এবং সাপের কামড়ে আক্রান্ত বৃদ্ধাকেও প্রয়োজনীয় প্রতিষেধক দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ, গত ৭ সেপ্টেম্বর জামজুরি মুড়াপাড়া থেকে বিষধর কালাচ প্রজাতির সাপের কামড়ে আক্রান্ত অসুস্থ মায়া রানীকে গোমতি জেলা হাসপাতালে আনা হয় রাত নটায়, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারা চিকিৎসা শুরু হয় রাত বারোটায়। চিকিৎসককে ফোন করা হলেও তিনি দীর্ঘক্ষণ পর হাসপাতালে আসেন এবং প্রতিষেধক দেন। কিন্তু তিন ঘন্টা ফেলে রাখার ফলে সংকটজনক হয় সাপের কামড়ে আক্রান্ত মহিলার। যা পরবর্তী সময় প্রতিষেধকও তাকে বাঁচাতে পারে নি।
রোগীর পরিবারের দাবি সঠিক সময়ে মায়া রানী চিকিৎসা শুরু হতো তাহলে তাকে বাঁচানো যেতে। মায়া রাণীর চিকিৎসা নিয়ে তদন্ত শুরু করলেই গোমতি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার কঙ্কালসার ছবি ফুটে উঠবে। মায়ারানী সূত্রধরের পরিবারের লোকজন এবং মুড়াপাড়া ও জামজুড়ি এলাকাবাসী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ দাবি করছে। এদিকে গোমতি জেলার কংগ্রেস সভাপতি দাবি করেন সাপের কামড়ে মায়া রানী সূত্রধরের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট চিকিৎসার গাফিলতি ছিল। এ নিয়ে তদন্ত করা জরুরি। মায়া রানীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানান।

