স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ মার্চ। ইউক্রেইন এবং দেশটির ইউরোপীয় মিত্রদের উদ্দেশ্যে ‘ফিশিং ক্যাম্পেইন’ চালাচ্ছে রাশিয়া ও বেলারুশের হ্যাকাররা। এই ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর চিহ্নিত হ্যাকারদের দল ‘ফ্যান্সিবেয়ার’-এর সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে গুগল।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই ফ্যান্সিবেয়ার ইউক্রেইনের মিডিয়া কোম্পানি ‘ইউকারনেট’-এ ফিশিং ইমেইল পাঠাচ্ছে বলে এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে গুগলের ‘থ্রেট অ্যানালাইসিস গ্রুপ’। কম্পিউটার হ্যাকারদের মোকাবেলা করে গুগলের এই দলটি, পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের হ্যাকারদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সতর্কও করে দেয় তারা।সাধারণত, ফিশিং চেষ্টার মাধ্যমে ভুক্তভোগীর অ্যাকাউন্টের লগ-ইন ডেটা চুরি করে কম্পিউটার এবং অনলাইন অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে হ্যাকাররা।তবে, এই ফিশিং চেষ্টাগুলোর কোনোটি সফল হয়েছে কি-না, সে বিষয়ে সোমবারের ব্লগ পোস্টে কিছু বলেনি গুগল।ফ্যান্সিবেয়ার ছাড়াও ফিশিং চেষ্টায় বেলারুশের হ্যাকার দল ‘ঘোস্টরাইটার’-এর সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে গুগল। হ্যাকারদের দলটি ইউক্রেইন ও পোল্যাণ্ডের সরকার, এবং উভয় দেশের সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের লগ-ইন ডেটা চুরি করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের হ্যাকাররা ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা এবং তাদের “কাছের মানুষদের” ব্যক্তিগত ইমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টা করছে – ইউক্রেইনের সাইবার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এই খবর জানিয়েছিলেন ফেব্রুয়ারি মাসেই।
রাশিয়া ও বেলারুশের হ্যাকারদের পাশাপাশি ইউরোপে চীনভিত্তিক হ্যাকারদের দল ‘মাসট্যাং পান্ডা’র তৎপরতাও চিহ্নিত করেছে গুগল। “ইইউ-এর সঙ্গে ইউক্রেইন সীমান্ত পরিস্থিতি” শিরোনামের ভাইরাসবাহী অ্যাটাচমেন্ট পাঠাচ্ছে হ্যাকারদের দলটি। গুগল বলছে, বরাবর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় তৎপরতা চালিয়ে আসা ‘মাসট্যাং পান্ডা’র জন্য ব্যতিক্রমী কার্যক্রম এটি। ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক হামলা শুরু হওয়ার পর থেকেই পালাপাল্টি সাইবার হামলা চালাচ্ছে উভয় দেশ। দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষা করে রাশিয়াকে পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য খোলাখুলি ভাবেই হ্যাকারদের সহযোগিতা চেয়েছে ইউক্রেইন সরকার।ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোনো ইউরোপীয় দেশের উপর সবচেয়ে বড় সামরিক হামলা বলে আখ্যা দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।অন্যদিকে, ইউক্রেইন আগ্রাসনকে ‘বিশেষ অভিযান’ বলে আখ্যা দিয়ে আসছে রাশিয়া। দেশটির ভূখণ্ডের উপর দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য নয়, বরং দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিবেশীর সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করে বিপজ্জনক জাতীয়তাবাদীদের আটক করতেই এই অভিযান– দাবি রাশিয়ার।