স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ ফেব্রুয়ারি। ফেইসবুক বা ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক মাধ্যমের প্রতি ব্যবহারকারীদের আসক্তি মোকাবেলায় নতুন বিল উত্থাপন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই সিনেটর।
ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেটর এমি ক্লবুশার এবং রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর সিনথিয়া লুমিসে’র ওই দ্বিদলীয় প্রস্তাবের অধীনে গবেষণায় নামবে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন’ এবং ‘ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস’।সিনেটর ক্লবুশারের দপ্তর থেকে পাওয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যম আসক্তি মোকাবেলায় ফেইসবুকের মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সম্ভাব্য করণীয় নিয়ে গবেষণা করবে সংস্থা দুটি।গেল বছর প্রযুক্তি সেবার বাজারে আলোড়ন তুলেছিলেন ফেইসবুকের অভ্যন্তরীণ তথ্য ফাঁসকারী সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন। হাউগেনের ফাঁস করা নথিপত্র থেকে উঠে আসে কিশোরবয়সীদের উপর ইনস্টাগ্রামের বিরূপ প্রভাবের বিষয়ে জানা থাকলেও মুনাফার লোভে বিষয়টি চেপে গেছে সম্প্রতি মেটা নাম ধারণ করা ফেইসবুক।
পরবর্তীতে সিনেট শুনানিতে হাজির হয়ে হাউগেন সাক্ষ্য দেন– করোনা ভাইরাস এবং এর টিকা সম্পর্কে বিপজ্জনক ভুয়া তথ্য প্রচারের সুযোগ দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্মটি। এ ছাড়াও নানা অনিয়মের অভিযোগ তোলেন তিনি।রয়টার্স জানিয়েয়েছে, ‘ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন’ এবং ‘ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস’-এর গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নতুন নীতিমালা তৈরি করবে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)’। নীতিমালা না মানলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে।“দীর্ঘ সময় ধরে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের বলে এসেছে ‘আমাদের বিশ্বাস করো। আমরা পারবো। কিন্তু এখন আমরা জানি, সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো বারবার মানুষের চেয়ে মুনাফাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। এদের অ্যালগরিদম ব্যবহারকারীদের ধরে রাখতে বিপজ্জনক কনটেন্ট দেখায় এবং ভুয়া তথ্য ছড়ায়। এই বিলটি ওই সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করবে।”– বিবৃতিতে বলেছেন সিনেটর ক্লবুশার।এই পরিস্থিতিতে টুইটার কর্তৃপক্ষের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানতে পারেনি রয়টার্স। ফেইসবুক সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হলেও ডিসেম্বর মাসের একটি ব্লগ পোস্টের কথা বলেছে যাতে ইনস্টাগ্রামে নানা ইতিবাচক পরিবর্তন আনার কথা বলেছিল প্রতিষ্ঠানটি।