Thursday, April 18, 2024
বাড়িপ্রযুক্তিগোপনতা মামলায় আদালতে জেরার মুখে পড়তে যাচ্ছেন পিচাই

গোপনতা মামলায় আদালতে জেরার মুখে পড়তে যাচ্ছেন পিচাই

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ ডিসেম্বর। ক্রোম ব্রাউজারের ‘ইনকগনিটো’ মোড ব্যবহারের সময় গুগল বেআইনিভাবে ব্যবহারকারীর কর্মকাণ্ডের উপর নজর রাখে– এমন অভিযোগে মামলা করেছিলেন এক ব্যবহারকারী। ওই মামলার বাদীপক্ষ অ্যালফাবেট প্রধান সুন্দার পিচাইকে সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা পর্যন্ত জেরা করতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত টেনেছে ক্যালিফোর্নিয়ার আদালত।

গুগলের ক্রোম ব্রাউজার “প্রাইভেট” মোডে থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহারকারীর কর্মকাণ্ডের উপর নজর রেখে বেআইনিভাবে ব্যক্তিগত গোপনতা লঙ্ঘন করেছে– এই অভিযোগে ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে ওই ব্যবহারকারী মামলা করেন ২০২০ সালে জুন মাসে।বাদীপক্ষের দাবি, ক্রোম ব্রাউজার এবং ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনতা লঙ্ঘন প্রসঙ্গে “ব্যক্তিগতভাবে” কিছু বিষয়ে অবহিত ছিলেন অ্যালফাবেট প্রধান সুন্দার পিচাই। তাই পিচাই-কে আদালতের সামনে জেরা করার সুযোগ চেয়ে আবেদন করেছিলেন বাদীপক্ষের আইনজীবীরা, আর তাতেই সায় দিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার আদালত।

তবে বাদীপক্ষের এই “অনুরোধে” মোটেই খুশি নয় গুগল। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র হোজে কাস্টানেডা রয়টার্সের কাছে ওই অনুরোধকে আখ্যা দিয়েছেন “অযৌক্তিক এবং অতিমাত্রার” বলে।   “মামলার অভিযোগগুলোর তীব্র বিরোধীতা করলেও, আমরা বাদীপক্ষের অসংখ্য অনুরোধে সহযোগিতা করেছি…  আমরা দৃঢ় ভাবে নিজেদের রক্ষা করে যাবো।”– বলেছেন কাস্টানেডা।রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, আদালতের নথি অনুযায়ী, গুগলের ‘ইনকগনিটো’ ব্রাউজিং মোড-কে “প্রাইভেট” বলে প্রচারণা জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে বলে ২০১৯ সালেই সতর্ক করা হয়েছিল পিচাইকে। তারপরও ওই প্রচারণা অব্যাহত ছিল, কারণ পিচাই চাননি ফিচারটি নিয়ে বেশি উচ্চবাচ্য হোক।ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে মামলার শুনানিতে বিচারক সুজান ভ্যাল কিউলেন বলেন, “কিছু নথিপত্র এটা প্রমাণ করছে যে, নির্দিষ্ট এবং সংশ্লিষ্ট কিছু তথ্য পিচাইকে জানানো হয়েছিল এবং সম্ভবত পিচাইয়ের কাছ থেকে অনুমোদন এসেছিল”। আর সে কারণেই বাদীপক্ষের আইনজীবীদের পিচাইকে প্রশ্ন করার অনুরোধে সায় দিয়েছেন বিচারক।

মামলার অভিযোগের বিপরীতে গুগল দাবি করছে, “ইনকগনিটো” মোড কেবল ব্যবহারকারীর নিজস্ব ডিভাইসে ডেটা জমা রাখা বন্ধ করে, এই বিষয়টি আগেই পরিষ্কার করে বলেছে তারা। বিশ্বের শীর্ষ সার্চ জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি দৃঢ়তার সঙ্গে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে রয়টার্স।

তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যক্তিগত গোপনতার প্রশ্নে নিজস্ব কর্মকাণ্ড নিয়ে বাজারের নীতিনির্ধারক এবং আইনপ্রণেতাদের সমালোচনার মুখে পড়েছে গুগল। অন্যদিকে, অনলাইন নজরদারি প্রসঙ্গে শঙ্কা বেড়েছে সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য