স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১০ ফেব্রুয়ারি : ছ’বছর পরে এক দিনের ম্যাচের আয়োজন করতে গিয়ে মুখ পুড়েছে ওড়িশা ক্রিকেট সংস্থার। কটকে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ চলাকালীন নিভে যায় আলো। ফলে ৩৫ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। এই ঘটনার দায় কার? রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কাছে জবাব তলব ওড়িশা সরকারের।
রবিবারের ম্যাচ দেখতে মাঠে গিয়েছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। ছিলেন অন্য মন্ত্রীরাও। সকলের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। তাতে বিরক্ত সরকার। ওড়িশার ক্রীড়ামন্ত্রী সূর্যবংশী সূর্য জানিয়েছেন, ক্রিকেট সংস্থার কাছে জবাব তলব করেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, “কেন আলো নিভে গেল সেই বিষয়ে ওড়িশা ক্রিকেট সংস্থাকে জবাব দিতে হবে। যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার সব রকম বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। তার পরেও কেন এই ঘটনা ঘটল?”
ওড়িশা ক্রিকেট সংস্থার সচিব সঞ্জয় বেহরা অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁদের তরফ থেকে কোনও ত্রুটি ছিল না। তিনি বলেন, “প্রতিটা ফ্লাডলাইটের জন্য দুটো করে জেনারেটর ছিল। জেনারেটর খারাপ হয়ে যাওয়ায় একটা স্তম্ভের আলো নিভে গিয়েছিল। পরের জেনারেটর আনতে গিয়ে একটু সময় লাগে। কারণ আলোর স্তম্ভ ও দ্বিতীয় জেনারেটরের মধ্যে ক্রিকেটারদের বাস রাখা ছিল। তাই একটু দেরি হয়।”
রবিবার ভারতের ইনিংসের সপ্তম ওভারে সাকিব মাহমুদের প্রথম বলে একটি রান নেন শুভমন গিল। তার পরেই কটকের বরাবাটির একটি ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে যায়। ভারতের স্কোর তখন ৪৮/০। প্রথমে স্তম্ভের দু’-তিনটি আলো জ্বলছিল। একটা সময় পুরোটাই বন্ধ হয়ে যায়। আম্পায়ারেরা সাময়িক সময়ের জন্য খেলা বন্ধ রাখেন। আলো জ্বালানোর আপ্রাণ চেষ্টা করা হতে থাকে। একটা সময় সব আলো জ্বলেও যায়। কিন্তু কয়েক মুহূর্ত যেতে না যেতেই পুরো স্তম্ভের আলো আবার বন্ধ হয়ে যায়।
প্রায় ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পর আম্পায়ারেরা ক্রিকেটারদের অনুরোধ করেন ডাগআউটে ফিরে যাওয়ার জন্য। তবে রোহিত শর্মা তাতে একেবারেই খুশি হতে পারেননি। তিনি বার বার খেলা চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। যদিও আম্পায়ারেরা সে অনুরোধ শোনেননি। কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করার পর হতাশ রোহিত এবং শুভমন ডাগআউটে ফিরে যান।
এমন সময় বিরাট কোহলিও মাঠের ধারে এসে অনুশীলন করেন। কিছু ক্ষণ পরে তিনিও ফিরে যান ডাগআউটে। রোহিতকে সেখানেও থামানো যাচ্ছিল না। বার বার হতাশায় মাথা নাড়াচ্ছিলেন। কিছু ক্ষণ পর হাসি ফেরে রোহিতের মুখে। ডাগআউটে বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্থ, শুভমন গিল, অর্শদীপ সিংহেরা আড্ডা মারতে থাকেন। কিছু ক্ষণ পরে আবার আলো জ্বলে। ৩৫ মিনিট বন্ধ থাকার পরে আবার শুরু হয় খেলা।