স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১১ নভেম্বর: পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একই ব্যবধানে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ডবারবাডোজে রোববার এই ম্যাচের অনেক কিছুই অনুসরণ করে আগের ম্যাচকে। পাওয়ার প্লেতে আবার কার্যকর বোলিং করেন ইংলিশ পেসার সাকিব মাহমুদ। সঙ্গে অন্য বোলাররাও চেপে ধরে ক্যারিবিয়ানদের। এবার আর লোয়ার অর্ডারে ঝড় তুলতে পারেনি তাদের কেউ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাই আটকে যায় ১৫৮ রানে।
এই পুঁজি নিয়ে ইংল্যান্ডকে আটকে রাখা কঠিন। বাটলার আপন রূপে আবির্ভুত হলে তো কাজটা আরও কঠিন! ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ৪৫ বলে ৮৩ রান করে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।ব্রিজটাউনে এ দিন রান তাড়ার শুরুটা যদিও ছিল ক্যারিবিয়ানদের জন্য আশাপ্রদ। ইনিংসের প্রথম ডেলিভারিতেই আকিল হোসেনের বল কাভারে তুলে দেন আগের দিন অপরাজিত সেঞ্চুরি করা সল্ট।তবে পরের জুটিতেই কাজ প্রায় শেষ করে ফেলে ইংল্যান্ড। উইল জ্যাকস ও বাটলার গড়েন ৭২ বলে ১২৯ রানের জুটি। সেখানে জ্যাকসের অবদান কেবল ২৯ বলে ৩৮।
সল্টের বিদায়ের পর পাল্টা আক্রমণের শুরুটা করেন জ্যাকস। অস্বস্তিময় শুরুতে বাটলারের রান ১০ বলে ছিল ৩। চতুর্থ ওভারে ম্যাথু ফোর্ডকে টানা দুই বাউন্ডারির পর তিনি ছন্দ পেয়ে যান। এরপর তাকে আর থামায় কে!জ্যাকস নিজেও কম আগ্রাসী নন। তবে এ দিন তিনি একরকম দর্শক হয়েই থাকেন অধিনায়কের ব্যাটিং প্রদর্শনীর সামনে।গুডাকেশ মোটিকে স্টেডিয়ামের বাইরে আছড়ে ফেলার পর রোস্টন চেইসের বলে আরেকটি ছক্কায় বাটলারের ফিফটি আসে ৩২ বলে।
পরে অভিষিক্ত টেরেন্স হাইন্ডসের বলে মারেন ছক্কা ও চার, চেইসের দ্বিতীয় ওভারে দুটি ছক্কা ও একটি চার।সেঞ্চুরিটাও তখন মনে হচ্ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। তখন একটু উল্টো স্রোতের দোলা। প্রথম ওভারে ২১ রান দেওয়া রোমারিও শেফার্ড আক্রমণে ফিরে এক ওভারেই বিদায় করে দেন দুজনকেই।তবে ইংল্যান্ড তখন জয়ের কাছে। বাকি কাজ অনায়াসেই সেরে ফেলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। শেফার্ডের টানা তিন বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ম্যাচ শেষ করে দেন তিনি (১১ বলে ২৩*)।
ম্যাচর প্রথম ভাগে ইংল্যান্ডকে ভালো শুরু এনে দেন পেসাররা। সকালে বৃষ্টি হওয়াতেই হয়তো উইকেটে পেসারদের সহায়তা ছিল কিছুটা। জফ্রা আর্চার ও সাকিব মাহমুদ তা কাজে লাগিয়ে প্রথম চার ওভারে তিন উইকেট আদায় করে নেন।চতুর্থ উইকেটে লড়াই করার চেষ্টা করেন নিকোলাস পুরান ও রভম্যান পাওয়েল। তবে এমন মারকুটে দুই ব্যাটসম্যানও খুব সুবিধা করতে পারেননি। জুটির ৩৫ রান আসে ৪৩ বলে।এটিই শেষ পর্যন্ত ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি হয়ে থাকে। ১৪ রান করতে ২৩ বল খেলেন পুরান।
পাওয়েলের রান ছিল এক সময় ২৮ বলে ১৮। পরে কিছুটা চালিয়ে খেলে শেষ পর্যন্ত দুটি করে চার ও ছক্কায় ৪১ বলে ৪৩ রান করেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক।পরের দিকে শেফার্ড যথারীতি একটি ক্যামিও ইনিংস খেলেন (১২ বলে ২২)। এছাড়া আর কেউ সুবিধা করতে পারেননি।ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাই পায়নি লড়ার মতো পুঁজি। পরে পারেনি বাটলারকে থামাতেও।বৃহস্পতিবার সেন্ট লুসিয়ায় সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৫৮/৮ (কিং ১, লুইস ৮, পুরান ১৪, চেইস ১৩, পাওয়েল ৪৩, রাদারফোর্ড ১, শেফার্ড ২২, মোটি ৯, ফোর্ড ১৩*, হাইন্ডস ৫*; আর্চার ৪-০-৩১-১, সাকিব ৩-০-২০-২, রাশিদ ৪-০-৩২-১, কারান ৩-১-২০-০, লিভিংস্টোন ২-০-১৬-২, মুজলি ৪-০-২৯-২)।
ইংল্যান্ড: ১৬.৫ ওভারে ১৮৩/২ (সল্ট ০, জ্যাকস ৩৮, বাটলার ৮৩, লিভিংস্টোন ২৩*, বেথেল ৩*; আকিল ৪-০-২৪-১, ফোর্ড ২-০-১৭-০, শেফার্ড ২.৫-০-৪২-২, মোটি ২-০-১৬-০, চেইস ২-০-৩৪-০, হাইন্ডস ২-০-২৪-০)।
ফল: ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচের সিরিজের দুটি শেষে ইংল্যান্ড ২-০তে এগিয়ে।
ম্যান অব দা ম্যাচ: জস বাটলার।