স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৪ নভেম্বর: এই মৌসুমেই বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে দ্রুতই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন ওলমো। তবে চোটের থাবায় থমকে যায় তার পথচলা। গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি চোটে পড়ে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েন তিনি। সেই চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরেন গত ২৩ অক্টোবর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে সেদিন ৭৬তম মিনিটে তাকে নামান কোচ।চোট থেকে ফেরার শুরুর একাদশে তার প্রথমবার জায়গা হলো রোববার। ফিরেই নিজেকে মেলে ধরতে সময় খুব একটা নেননি তিনি। লা লিগায় এস্পানিওলের বিপক্ষে দ্বাদশ মিনিটে তার গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ৩১তম মিনিটে আরও একটি গোলের দেখা পেয়ে যান তিনি।
ওলমোর জোড়া গোলের সঙ্গে রাফিনিয়ার গোলে প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য আর গোল করতে পারেনি কাতালানরা। একটি গোল শোধ করতে পারে এস্পানিওল।জয়ের পর মাঠে ফেরার স্বস্তির কথা বললেন ওলমো। নিজের ও দলের পারফরম্যান্সের ভালো লাগার কথাও শোনা গেল তার কণ্ঠে। ২৬ বছর বয়সী উইঙ্গার পাশাপাশি শোনালেন তীব্র তাড়নার কথাও।“খুব ভালো লাগছে। চোট কাটিয়ে ফিরতে ও মাঠে নেমে দলকে সহায়তা করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম। এখন ফিরেছি, উপভোগ করছি, খেলছি, ম্যাচ জিততে পারছি… এবং আরও বেশি চাই আমি।”লিগে পাঁচ ম্যাচ খেলে এবং স্রেফ তিনবার শুরুর একাদশে জায়গা পেয়েই পাঁচ গোল করে ফেললেন ওলমো। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে বার্সেলোনাই এখনও পর্যন্ত একমাত্র দল, যাদের চার ফুটবলার লিগে গোল করেছেন অন্তত পাঁচটি- রবের্ত লেভানদোভস্কি (১৪), রাফিনিয়া (৭), লামিনে ইয়ামাল (৫) ও দানি ওলমো (৫)।
দলের পারফরম্যান্স তাই সহজেই অনুমেয়। লিগে এখনও পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ৪০ গোল করে ফেলেছে বার্সেলোনা।ওলমো বললেন, তাদের খেলার ধরনই এরকম যে, প্রচুর গোল আদায় করার সুযোগ থাকে।“আমরা এমন একটি দল, যারা প্রচুর গোল করে। আমাদের ফরোয়ার্ডরা তো বটেই, মিডফিল্ডাররাও অনেক ওপরে উঠতে পারে এবং গোল করতে বা অবদান রাখতে পারে। আমরা সরাসরি খেলতে পারি এবং অনেক সুযোগ তৈরি করতে পারি।”ওলমোকে ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিকও। এস্পানিওলের সঙ্গে জয়ের কৃতিত্ব এই উইঙ্গারকেই দিলেন তিনি।“সে জানে কীভাবে গোল করতে হয়। আজকে আমাদের জন্য তা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা খুবই খুশি যে দানি মাঠে ফিরেছে। এখনও সে শতভাগ (ফিট) নয়, তবে সে ফিরেছে এবং শুরু থেকেই মাঠে নামতে পেরেছে। এজন্যই আমরা আজকের ম্যাচটি জিততে পেরেছি।”