স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৯ অক্টোবর : ২০২৮-র অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসে। প্যারিস অলিম্পিক শেষ হওয়ার পর তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী অলিম্পিকে থাকছে ক্রিকেটও। কিন্তু লস অ্যাঞ্জেলসে নয়, ক্রিকেট ম্যাচগুলো হতে পারে ৪ হাজার কিমি দূরে নিউ ইয়র্কে। কেন এই সিদ্ধান্ত?
চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বেশ কয়েকটি ম্যাচ হয়েছে আমেরিকায়। সেখানে ছিল ভারতের ম্যাচও। নিউ ইয়র্কের নাসাও স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছিল রোহিত-বিরাটদের বিশ্বজয়ের অভিযান। প্রচুর দর্শক হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। টিকিটের দাম ছিল আকাশছোঁয়া। স্পষ্টতই, উপমহাদেশের ক্রিকেটের তুমুল জনপ্রিয়তার আঁচ পেয়েছে ক্রীড়াবিশ্ব।
সেটাকে মাথায় রেখেই ক্রিকেটের স্থানবদল লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে। আমেরিকার দুই প্রান্তে দুই শহর। তাতেও নিউ ইয়র্কে ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করলে ভারতের বাজারকে আকর্ষণ করা যাবে। কারণ ভারতের সঙ্গে লস অ্যাঞ্জেলসের সময়ের ফারাক সাড়ে ১২ ঘণ্টা। অর্থাৎ, সেখানে বিকেলে যদি ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করা হয়, তাতেও ভারত তথা উপমহাদেশের দর্শকের সাতসকালে উঠে টিভির সামনে বসতে হবে। সেই তুলনায় নিউ ইয়র্কে আয়োজন করা যে সুবিধাজনক, তা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় বোঝা গিয়েছে।
তাছাড়া এই টুর্নামেন্টে ভারতের ম্যাচে জনসমাগম দেখেও আশ্বস্ত হতে পারে অলিম্পিক কমিটি। সেই দর্শকদের হাতছাড়া করতে চাইবে না তারা। এই প্রসঙ্গে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক আয়োজক কমিটির প্রধান কেসি ওয়েসারমান আগেই জানিয়েছিলেন যে, বিশ্বকাপের জন্য নিউ ইয়র্কের পরিকাঠামো বাড়তি খরচ কমাতে সাহায্য করবে। উল্লেখ্য ১২৮ বছর পর অলিম্পিকে প্রত্যাবর্তন ঘটছে ক্রিকেটের। আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পুরুষ ও মহিলাদের প্রতিযোগিতায় ভারতের পদকজয়ের সম্ভাবনাও বাড়ছে।