স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৩ অক্টোবর: সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচটি ৫-২ গোলে হারে ডর্টমুন্ড। প্রথমার্ধে তারা এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে। চার মিনিটের মধ্যে গোল দুটি করেন ডোনিয়েল মালেন ও জেমি গিটেন্স।চমৎকার পারফরম্যান্সে গতবারের ফাইনালে রেয়ালের বিপক্ষে হারের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার আশা জাগায় ডর্টমুন্ড। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। ঘুরে দাঁড়ানোর আরেকটি গল্প লিখে রেয়াল তুলে নেয় বড় জয়। তাদের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিউস জুনিয়র। একটি করে গোল করেন আন্টোনিও রুডিগার ও লুকাস ভাসকেস।
রেয়ালের মতো দলের বিপক্ষে দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ায় অতিআত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন শাহিন। ইংলিশ ফরোয়ার্ড গিটেন্সকে তুলে ডিফেন্ডার আন্টোনকে নামান তিনি। এরপরই প্রথম গোল হজম করে তারা। এর পরপর আরেক ফরোয়ার্ড মালেনকে তুলে মিডফিল্ডার পাসকেলকে নামায় সফরকারীরা।কিন্তু শাহিনের সব পরিকল্পনা ভেস্তে দেন ভিনিসিউসরা। আক্রমণের ঝড় তুলে কোণঠাসা করে রাখেন তারা প্রতিপক্ষকে। তাতে মিলে একের পর এক গোলও। ম্যাচের শেষ ৩৩ মিনিটে পাঁচ গোল করে ইউরোপের সফলতম ক্লাবটি।এই পরিবর্তনগুলো যে ভুল ছিল তা বুঝতে পারছেন শাহিন। ম্যাচ শেষে তা মেনেও নিয়েছেন তিনি ডর্টমুন্ড কোচ। সঙ্গে রক্ষণভাগের পারফরম্যান্সকেও তুলেছেন কাঠগড়ায়।
“অবশ্যই এটা ব্যাখ্যা করা সহজ নয়… ছেলেরা ভালো করেছে, দুই গোল করেছে এবং তার পর বিরতিতে গেছে। আমরা জানতাম, এটা (ম্যাচ) অনেক লম্বা হবে। দ্বিতীয়ার্ধ খুব, খুব দীর্ঘ। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা লক্ষ্য করেছি, আমাদের চাপে রাখা হচ্ছে। রক্ষণে আমাদের সমস্যা ছিল এবং আমি ভেবেছিলাম তিন জনের ডিফেন্সে যাওয়া উচিত এবং এটাই করেছি।”“এটা আমার ভুল এবং আমাকে এটা মানতে হবে। সমালোচনা থাকবেই, সেটা আমাকে সামলাতে হবে… রক্ষণ সামলানোয় আমরা খুবই বাজে ছিলাম…।”এই পরাজয়ে তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে ডর্টমুন্ড। আর প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন রেয়ালের অবস্থান নবম, তাদেরও পয়েন্ট ৬।