স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৫ অক্টোবর: উয়েফা নেশন্স লিগের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ফ্রান্সের জয়ের নায়ক এই কোলো মুয়ানিই। ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের জোড়া গোলে সোমবার বেলজিয়ামকে হারায় ফ্রান্স।বেলজিয়ামের মাঠে ২-১ গোলের এই জয়ে ‘এ’ লিগের দুই নম্বর গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার দুয়ারে পৌঁছে গেছে ফরাসিরা।ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন কোলো মুয়ানি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে তা শোধ করে দেয় বেলজিয়াম। দ্বিতীয়ার্ধে হেড থেকে গোল করে ফ্রান্সকে আবার এগিয়ে দেন পিএসজির ফরোয়ার্ড। এই গোলই শেষ পর্যন্ত গড়ে দেয় ব্যবধান।পিএসজির হয়ে নিয়মিত সেরা একাদশে সুযোগ না পেলেও দেশের হয়ে সবশেষ চার ম্যাচে চার গোল করে ফেললেন কোলো মুয়ানি। দলের অধিনায়ক ও মূল ভরসা কিলিয়ান এমবাপের অনুপস্থিতিতে আক্রমণভাগের দায়িত্বও দারুণভাবে পালন করলেন তিনি।
ম্যাচের পর কোচ দেশম তুলে ধরলেন ফ্রান্স দলে কোলো মুয়ানির কার্যকারিতা।“সে খুব কৌতূহল জাগানিয়া, খুবই দীপ্তিময়। দারুণ আত্মবিশ্বাসী ছেলে সে। সুনির্দিষ্ট কিছু গুণ তার আছে। বল পায়ে যখন সে ছুটে যায়, তার উপস্থিতি প্রবলভাবে টের পাওয়া যায়। খুব ভালো হেড করে সে এবং আমাদের জন্য তো প্রায় সবসময়ই সে সফল।”ব্রাসেলসে ম্যাচের শুরুর দিকে দাপট ছিল বেলজিয়ামের। কয়েকটি সুযোগও আদায় করে নেয় তারা। কিন্তু গোল বের করতে পারেনি। ২৫ মিনিটের পর থেকে আস্তে আস্তে গুছিয়ে নেয় ফ্রান্স।শেষ দিকে অবশ্য আবার চাপে পড়ে যায় তারা। ৭৬তম মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মিডফিল্ডার অহেলিয়া চুয়ামেনি। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রাখতে পারে ফরাসিরা।
শুরু ও শেষের চাপ সামলাতে পেরে স্বস্তি পাচ্ছেন কোচ দেশম।“প্রথম ২০-২৫ মিনিটে আমরা বেশ নড়বড়ে ছিলাম। ওরা আমাদেরকে প্রবল চাপে ফেলে দিয়েছিল, অনেক টেকনিক্যাল ভুলও করেছি আমরা। তবে সেটির সমাধান বের করে যখন আমরা আক্রমণে উঠতে থাকলাম, তখন পরিস্থিতি আমাদের জন্য ভালো হতে থাকল।”“নাড়া দিয়ে জেগে ওঠা, ভুলের মাত্রা কমানো ও থিতু হওয়া জরুরি ছিল আমাদের জন্য। ওপরে উঠে চাপ তৈরি করতেই হতো আমাদের। অবশ্যই ওরা সুযোগ পেয়েছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরাও সুযোগ পেয়েছি। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ জিততে পেরে আমরা খুশি, বিশেষ করে ১০ জন নিয়ে।”
চোটের কারণে এই রাউন্ডের ম্যাচগুলোয় এমবাপেকে পায়নি ফ্রান্স। দলে সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে বেশ। তবে উজ্জীবিত পারফরম্যান্সে এমন জয় দলটাকে আরও পোক্ত করে তুলবে বলে বিশ্বাস ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী কোচ দেশমের।“দলটা খুবই তরুণ, অভিজ্ঞতা বেশি নেই। কিন্তু দলে তাড়না, গুরুত্ব ও রোমাঞ্চের কমতি ছিল না। এই ধরনের ম্যাচ জিততে পারা সবসময়ই দারুণ ব্যাপার।”চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিগে এই গ্রুপের শীর্ষে ইতালি। ৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ফ্রান্স। তাদে কোয়ার্টার-ফাইনালে যাওয়া একরকম নিশ্চিতই। চার ম্যাচে চার পয়েন্ট বেলজিয়ামের, কোনো পয়েন্ট নেই ইসরায়েলের। গ্রুপে ম্যাচ বাকি আছে প্রতি দলের আর দুটি করে।