স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। ২১ সেপ্টেম্বর : এভাবেও ফিরে আসা যায়! বহু ক্লিশে হয়ে যাওয়া এই লাইন হয়তো ঋষভ পন্থের জন্য এক্কেবারে মিলে যায়। ঠিক গুনে গুনে ৬৩২ দিন। ৬৩২ দিন পর লাল বলের পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল ঋষভ পন্থের। আর ৬৩৪ দিনের মাথায় সেঞ্চুরি করে ফেললেন তিনি। অর্থাৎ লাল বলের পৃথিবীতে ফিরেই শতরানের মালিক হয়ে গেলেন পন্থ । বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে অনবদ্য শতরান করলেন তিনি। সেঞ্চুরি করলেন শুভমান গিলও।
সকালের সেশনে সচরাচর পেসাররা সাহায্য পেয়ে থাকেন সামান্য হলেও। কিন্তু চিপকে টেস্টের তৃতীয় দিন না স্পিনার না পেসার, বাংলাদেশের কোনও বোলারই দাগ কাটতে পারেন না। উলটে দ্বিতীয় দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটার শুভমান গিল এবং ঋষভ পন্থ দুজনেই পিচে রীতিমতো রাজত্ব করে গেলেন। দুই তারকাই সেঞ্চুরি হাঁকালেন।
চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসেও চাপের মুখে ভালো ইনিংস খেলেছিলেন পন্থ। তবে শুরুটা ভালো করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। সেই আক্ষেপ তিনি পূরণ করলেন দ্বিতীয় ইনিংসে। পন্থ যখন ব্যাট করতে নামলেন তখন তিন উইকেট খুইয়ে চাপে টিম ইন্ডিয়া। সেখান থেকে গিলের সঙ্গে জুটি বেঁধে শুধু যে ভারতকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করলেন তাই নয়, রীতিমতো দাপট দেখিয়ে ১০৯ রানের ইনিংস খেলে গেলেন। এর আগে ওয়ানডে এবং টি-২০ বিশ্বকাপে ভালো খেলেছেন পন্থ। তবে টেস্টে ফিরেই তাঁর সেঞ্চুরি পাওয়া নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে স্বস্তি দেবে ভারতীয় শিবিরকে।
একা পন্থ নন, শুভমান গিলও অনবদ্য ইনিংস খেললেন। শুরুটা তুলনামূলক কম গতিতে করলেও ঝকঝকে শতরান করেছেন তিনিও। এর আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন শুভমান। সব মিলিয়ে জোড়া শতরানে ভারত রীতিমতো চালকের আসনে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের রান যখন ৪ উইকেটে ২৮৭, তখন ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সব মিলিয়ে টিম ইন্ডিয়ার লিড ৫১৪ রান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধ টিম ইন্ডিয়া কত বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে, সেটাই এখন দেখার।