Thursday, September 12, 2024
বাড়িখেলারুটকে থামানোর পথ খুঁজে হয়রান শ্রীলঙ্কা

রুটকে থামানোর পথ খুঁজে হয়রান শ্রীলঙ্কা

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৫ সেপ্টেম্বর: ইংল্যান্ড সফরে শ্রীলঙ্কা যে এখন হোয়াইটওয়াশড হওয়ার মুখে, এটির মূল কারণ রুট। প্রথম দুই টেস্টে তিনি বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৪২ রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন এই ব্যাটসম্যান। পরে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়ায় তার অপরাজিত ৬২ দলকে পার করায় জয়ের সীমানা।লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্ট ছিল তো পুরোপুরিই রুটময়। জোড়া সেঞ্চুরিতে অনেকগুলো রেকর্ডে নিজের নাম লেখান তিনি। ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি শতরানের রেকর্ডে পেছন ফেলে দেন অ্যালেস্টার কুককে।চার ইনিংসে ১১৬.৬৬ গড়ে রুটের রান এখন ৩৫০। সিরিজে রানের তালিকায় তার পেছনে থাকা কামিন্দু মেন্ডিসের রান কেবল ২০৩।

এই সিরিজেই প্রথম নয়, গত কয়েক বছরে বরাবরই শ্রীলঙ্কাকে পেলে রুট হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য। ১০ বছর আগে এই বন্ধনের শুরুটাই ছিল ডাবল সেঞ্চুরি দিয়ে। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথমবার খেলতে নেমেই অপরাজিত ২০০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি লর্ডসে ২০১৪ সালে।পরের ১০ ইনিংসে কোনো সেঞ্চুরি ছিল না, ফিফটি ছিল কেবল একটি। কিন্তু সেই অধ্যায় পেছনে ফেলে সবশেষ ১১ ইনিংসে লঙ্কানদের চোখের জল নাকের জল এক করে তিনি সেঞ্চুরি করেছেন ৫টি। এর মধ্যে আছে ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে গলে দুই টেস্টে ২২৮ রান, ১৮৬ রানের ইনিংস।তার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি ব্যাটিং গড় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই, ১২ টেস্টে ৬৭.৫৫। সব দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ব্যাটিং গত তার শ্রীলঙ্কাতেই। সেখানে তার গড় ৬৫.৫০, অথচ নিজ দেশে গড় ৫৫.৬৪।সব মিলিয়ে রুট যে লঙ্কানদের জন্য ভয়ঙ্কর এক মাথাব্যথার নাম, সেটি ফুটে উঠল তৃতীয় টেস্টের আগে কারুনারাত্নের কথায়।

“জো রুটেক থামাতে বেশ কিছু চেষ্টা আমরা করেছি, কিন্তু সবকটিই ব্যর্থ হয়েছে। এই ম্যাচগুলির টার্নিং পয়েন্ট ছিল জো রুটের ইনিংসগুলোই। এমনকি গলে যখন আমরা খেলেছি, তখনও সে বড় ইনিংস খেলেছে। অন্য ব্যাটাররা এত বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তার রান যতটা সম্ভব কমাতেই হবে আমাদের।”শ্রীলঙ্কার কোচ-অ্যানালিস্টদের পরিকল্পনা এখনও পর্যন্ত বেশির ভাগ সময় ব্যর্থ হয়েছে। তার ব্যাটিংকে তাই আরও নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে বলে মনে করেন কারুনারাত্নে। রুটকে থামানোর সম্ভাব্য একটি পথ বাতলে দিলেন ৯৩ টেস্ট খেলা ব্যাটসম্যান নিজেও।

“তার অতীতের পারফরম্যান্স আরও নিবিড়ভাবে দেখতে হবে আমাদের। খেয়াল করতে হবে কীভাবে সে আউট হয়েছে, ক্রিজে সে কোন ধরনের কাজ করে। এসবের ওপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা গড়তে হবে আমাদের।”“কখনও কখনও আমরা হয়তো তাকে একটু বেশি আক্রমণ করি, সে সেটার ফায়দা নেয়। অনেক ব্যাটসম্যানই মাঝেমধ্যে কম আগ্রাসী হতে পছন্দ করে না। কখনও কখনও ব্যাটসম্যানদের বিরক্ত করে তোলাও একটি কার্যকর কৌশল।”দুই ম্যাচের দুটিতেই হেরে যাওয়া শ্রীলঙ্কা হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াইয়ে নামবে ওভালে। ম্যাচ শুরু শুক্রবার।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য