Wednesday, September 11, 2024
বাড়িখেলাবার্সায় ‘স্বপ্নের অভিষেকে’ উচ্ছ্বসিত ওলমো

বার্সায় ‘স্বপ্নের অভিষেকে’ উচ্ছ্বসিত ওলমো

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৮ আগস্ট: লা লিগায় মঙ্গলবার প্রথম খেলতে নেমেই প্রতিভা আর সামর্থ্যের ঝলক দেখান ওলমো। এবারে ইউরোতে স্পেনের শিরোপা জয়ের নায়কদের একজন এই মিডফিল্ডার বার্সেলোনার হয়ে অভিষেকেই গড়ে দেন বড় পার্থক্য।রায়ো ভাইয়েকানোর বিপক্ষে প্রথমার্ধে পিছিয়ে ছিল বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে পেদ্রির গোলে ম্যাচে ফেরে সমতা। ৮২তম মিনিটে গোল করে দলকে জেতান অভিষিক্ত ওলমো।এই বার্সেলোনায় ফিরলেন তিনি ১০ বছর পর। আট বছর বয়সে শুরুতে এস্পানিওলের একাডেমিতে যাওয়ার পর পরের বছরই বার্সেলোনার একাডেমিতে যোগ দেন তিনি। সেখানে ছিলেন সাত বছর। পরে ১৬ বছর বয়সে তার পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয় ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব দিনামো জাগরেবে।

২০২০ সালে তিনি নাম লেখান লাইপজিগে। সেখানে চার বছর কাটিয়ে, এবারের ইউরোতে নজর কেড়ে অবশেষে এবার ফেরেন বার্সেলোনায়।ফেরার পর প্রথম ম্যাচেই নায়ক হতে পেরে যেন আকাশে উড়ছিলেন ২৬ বছর বয়সী মিডফিল্ডার।“ম্যাচটি যেভাবে শেষ হলো এবং যেভাবে জিতলাম আমরা, আমি সত্যিই খুবই খুশি। আমার জন্য এটি স্বপ্নের অভিষেক।”“এই মুহূর্তটির অপেক্ষা করছিলাম অনেক দিন ধরেই এবং অবশেষে আজকে দিনটি এসেছে। খুব ভালো লাগছে। দলকে সহায়তা করতে পেরে ভালো লাগছে এবং নিজে গোল করতে পারা তো আরও ভালো ব্যাপার। এর চেয়ে ভালো অভিষেক আর হতে পারে না।”

সময়ের প্রয়োজনে একসময় বার্সেলোনা ছেড়ে গেলেও এখানে ফেরার স্বপ্ন তার সবসময়ই ছিল। এবার তাই ডাক পেয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটুও ভাবতে হয়নি তাকে। তবে ক্লাবে আসার পর অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হয় আরও। লরা লিগার ‘ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’-এর জটিল নিয়মের কারণে ক্লাব তাকে নিবন্ধন করাতে পারছিল না। মৌসুমের প্রথম দুই ম্যাচে তাই বাইরেই থাকতে হয় তাকে।অবশেষে এই ম্যাচের আগের তিন তাকে নিবন্ধন করাতে পারে বার্সেলোনা। তিনিও দলকে এনে দেন তিন পয়েন্ট। শুরুটা এমন করতে পেরে তার খুশি যেন বাধ মানছিল না।

“অবশ্যই আমার স্বপ্ন ছিল একদিন এই ক্লাবে ফেরার। বার্সেলোনা যখন দুয়ারে কড়া নাড়ল, আমার কোনো সংশয়ই ছিল না যে এখানে ফিরতে চাই। ফিরতে পেরে সত্যিই খুশি আমি।”“ক্লাবের ওপর আমার ভরসা ছিল (নিবন্ধন দ্রুতই হবে)। শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম যেন সুযোগটি এলেই নিতে পারি। আজকে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পেরেছি। যেভাবে সবকিছু হয়েছে, সত্যিই উচ্ছ্বসিত আমি। জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল দলের জন্য।”দ্বিতীয়ার্ধে ওলমো মাঠে নামার পরই বার্সেলোনার খেলার ধার বেড়ে যায় অনেক। মাঠে তার ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছিল পরিষ্কারভাবেই। নতুন একজনকে প্রথম ম্যাচেই এভাবে পার্থক্য গড়তে দেখে উচ্ছ্বসিত কোচ হান্সি ফ্লিক।

“বার্সেলোনার হয়ে খেলতে ও গোল করতে অনেক দিন ধরে অপেক্ষায় ছিল সে। আপনারা দেখেছেন, সে মাঠে নামার পর আমাদের বলের নিয়ন্ত্রণ অনেক বেশি ছিল। সত্যিই ভালো ছিল এটা।”“সে বল পায়ে রাখতে জানে এবং গোলমুখেও সে দুর্দান্ত। জানে কীভাবে গোল করতে হয়। একজন মিডফিল্ডারের জন্য অবশ্য এই ধরনের গুণ থাকতেই হয়। তবে সে এসবে সত্যিই খুব ভালো।”টানা তিন জয়ে বার্সেলোনা লা লিগার শুরুটা করল দারুণ। সেই ২০১৮-১৯ মৌসুমের পর প্রথমবার টানা তিন জয়ে লিগ শুরু করতে পারল তারা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য