স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩ আগস্ট: কয়েক মাস ধরে সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের পড়তি ফর্মে চাপের মুখে ম্যাথু মট সম্প্রতি দায়িত্ব ছেড়ে দেন। আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মটের সহকারী ও দেশটির সাবেক ওপেনার মার্কাস ট্রেসকোথিককে।ক্রিকেট পরিচালক রব কি তখনই জানান, অবিলম্বে পূর্ণকালীন মেয়াদে কোচ খোঁজার কাজ শুরু করবেন তারা। প্রাথমিকভাবে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, ইংল্যান্ডের ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মর্গ্যান নিতে পারেন সাদা বলের কোচের দায়িত্ব।
তবে মর্গ্যান নিজেই উড়িয়ে দেন সেই গুঞ্জন। ইংল্যান্ডের ‘দা হান্ড্রেড’ টুর্নামেন্টের ম্যাচ চলাকালে বৃহস্পতিবার স্কাই স্পোর্টসের আলোচনায় নতুন কোচ হিসেবে ম্যাককালামের নাম প্রস্তাব করেন সাবেক এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।“আমার চোখে এই মুহূর্তে আপনি রাহুল দ্রাবিড়, রিকি পন্টিং, স্টিফেন ফ্লেমিং ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের দিকে যাবেন। এটি বলছি কারণ আমি বিশ্বাস করি, সে (ম্যাককালাম) বিশ্বের সেরা কোচদের একজন। দেখতেই পাচ্ছেন, ইংল্যান্ড টেস্ট দলের হয়ে সে কী করেছে।”
নিজের প্রস্তাবের পক্ষে শক্ত যুক্তিও দাঁড় করান মর্গ্যান। তার স্পষ্ট উচ্চারণ, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে প্রধান কোচ হিসেবে নতুন কাউকে সুযোগ দেওয়ার বদলে পরীক্ষিত কোচ দিয়েই সাফল্যের খোঁজ করতে হবে।“বড় প্রশ্ন হবে, সে (ম্যাককালাম) ১২ মাসের মধ্যে কীভাবে দলকে উপযুক্ত করে তুলবে। তবে রব কি’র দৃষ্টিকোণ থেকে, তাকে এই কাজটিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে… এটা নতুন কোনো কোচের এগিয়ে আসার সুযোগ নয়। আপনি এখানে বিশ্বের সেরা ব্যক্তিকে দেখতে চাইবেন এবং সে জস বাটলার ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে আরও ভালো হতে সাহায্য করবে।”
২০২২ সালের মে মাসে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন ম্যাককালাম। ওই সময় সবশেষ ১৭ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি জিতেছিল ইংলিশরা। পরে ম্যাককালাম কোচ হয়ে আসার পর অধিনায়ক করা হয় বেন স্টোকসকে। দুজনের যুগলবন্দীতে এখন পর্যন্ত ২৫ ম্যাচে ইংল্যান্ডের জয় ১৭টিতে।লাল বলের ক্রিকেটে সাফল্যের ধারায় থাকা ম্যাককালাম রঙিন পোশাকেও দায়িত্ব নিতে রাজি হবেন কি-না, সেই ব্যাপারে অবশ্য নিশ্চিত নন মর্গ্যান। এক্ষেত্রে রব কি’র বিশেষ ভূমিকা পালনের আশায় তিনি।
“সত্যি বলতে, আমি নিশ্চিত নই, সে এই ব্যাপারে (সাদা বলের কোচ) বেশি ভেবেছে কিনা অথবা আদৌ ভেবেছে কিনা। তবে তার ভাবা উচিত। রব কি’র সেই আলোচনা করা উচিত। কারণ আমরা ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে নাটকীয় পালাবদল দেখেছি এবং সে স্টোকসকে নিয়ে দলটা গড়েছে।”“ব্রেন্ডনের কোচিংয়ে আমি খেলেছি (আইপিএলে)। নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটে বছরের পর বছর সে কী করেছে এবং যেসব সাফল্য পেয়েছে, আমরা দেখেছি। সে খুবই বৈচিত্র্যময়। কোচ হিসেবে সে খুবই যোগ্য, সে ইংল্যান্ড টেস্ট দলের উন্নতি করেছে।”