স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩০ জুন: বারবাডোজে শনিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে জয়ের জন্য এক পর্যায়ে ৩০ বলে ৩০ রানের প্রয়োজন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। উইকেট ছিল তাদের তখনও ৬টি। কিন্তু বিধ্বংসী ইনিংস খেলা হাইনরিখ ক্লসেনের বিদায়ের পর খেই হারিয়ে প্রোটিয়াদের সম্ভাবনাও দূরে সরতে থাকে। শেষ পর্যন্ত শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন পড়ে ১৬ রানের।
শেষ আশা তখন ডেভিড মিলার। শেষ ওভারের প্রথম বলটি হয়তো ওয়াইড ইয়র্কার করতে চেয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। হয়ে যায় ওয়াইড ফুল টস। মিলার ব্যাট চালিয়ে দেন সজোরে। টাইমিং শতভাগ নিখুঁত হয়নি। লং অফ দিয়ে তবু ছক্কা হয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু অনেকটা ছুটে এসে বল মুঠোয় নেয় সুরিয়াকুমার।তবে দৌড়ের গতিবেগেই মাঠের বাইরে চলে যাচ্ছিলেন তিনি। এর আগেই বল বাতাসে ছুড়ে দেন। এরপর আবার মাঠে ঢুকে বল তালুবন্দি করেন তিনি।
সিদ্ধান্ত গড়ায় তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। তিনি রিপ্লে দেখে নিশ্চিত করেন, ক্যাচটি বৈধ।এসব ক্যাচের ক্ষেত্রে অবশ্য সামনের অ্যাঙ্গেল থেকেও রিপ্লে দেখা হয়। এই ঘটনায় যা দেখা হয়নি। হতে পারে, সাইটস্ক্রিনের সামনে ক্যাচটি নেওয়া হয়েছে বলে ওই অ্যাঙ্গেল ধরা পড়েনি ক্যামেরায়। এছাড়া রিপ্লে দেখার সময় কয়েকটি ফ্রেম দেখার সময় তৃতীয় আম্পায়ার ইংল্যান্ডের রিচার্ড কেটেলবরো যা বলছিলেন, তাতে তিনি পুরোপুরি নিশ্চিতই ছিলেন যে, ক্যাচটি নিয়ে সংশয় নেই।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলো, আরেকটু সময় নিয়ে রিপ্লে দেখতে পারতেন কি না তৃতীয় আম্পায়ার। মার্করাম শোনালেন তার ভাবনা।“সত্যি বলতে, আমি এটা এখনও দেখিনি। দেখতে পারিনি। হ্যাঁ, রিপ্লে একটু দ্রুতই হয়েছে। অবশ্যই তারা বেশ নিশ্চিতই ছিল যে এটা আউট এবং এই কারণেই রিপ্লে দ্রুত দেখেছে।”১৭ বলে ২১ রান করে আউট হন মিলার। এরপর কাগিসো রাবাদার ব্যাটের কানায় লেগে একটি চার এলেও কঠি সমীকরণ মেলাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৭ রানে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।