Tuesday, October 8, 2024
বাড়িখেলামাঠে নেমে ‘স্মার্ট’ সিদ্ধান্ত নিয়ে এমন বিস্ফোরক ইনিংস রোহিতের

মাঠে নেমে ‘স্মার্ট’ সিদ্ধান্ত নিয়ে এমন বিস্ফোরক ইনিংস রোহিতের

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৫ জুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের ম্যাচে সেন্ট লুসিয়ায় সোমবার অস্ট্রেলিয়ার বোলিংকে তুলাধুনা করে চোখধাধানো সব শটের পসরা সাজান রোহিত। দ্বিতীয় ওভারে ভিরাট কোহলি ৫ বলে শূন্য রানে আউট হওয়া পর অসাধারণ পাল্টা আক্রমণে অস্ট্রেলিয়ানদের দিশাহারা করে দেন তিনি। মিচেল স্টার্কের এক ওভারেই মারেন চারটি ছক্কা ও একটি চার।শুধু স্টার্কই নয়, কেবল জশ হেইজেইলউড ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার অন্য সব বোলারকে গুঁড়িয়ে ৭ চার ও ৮ ছক্কায় খেলেন ৪১ বলে ৯২ রানের ইনিংস। ভারত পরে ২০৫ রান তুলে ২৪ রানে জিতে গ্রুপ সেরা হয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করে।

ক্যারিবিয়ানের মাঠগুলোতে অনেক সময়ই বড় নিয়ামক হয়ে ওঠে বাতাস। ব্যাটিং-বোলিংয়ে যারা বাতাসকে ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারে, তারাই ম্যাচ জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে যায়। কিন্তু রোহিতের ভাবনা এ দিন ছিল ভিন্ন।ম্যাচ সেরা হওয়ার পর ভারতীয় অধিনায়ক জানালেন, শুধু বাতাসকে কাজে লাগানোর ভাবনা থেকে সরে এসে সবদিকেই শট খেলার চেষ্টা করে গেছেন তিনি।“একদম প্রথম ওভার থেকেই তীব্র বাতাস বয়ে যাচ্ছিল আড়াআড়িভাবে। ওরাও নিজেদের পরিকল্পনা পরিবর্তন করে বাতাসের বিপরীতে বল করতে শুরু করে।

 এজন্য মাঠের অন্য দিকটাও উন্মুক্ত করতেই হতো আমাকে। স্মার্ট হতে হয় এসব ক্ষেত্রে। যেমনটি বলেছি, মাঠে নেমে পরিস্থিতি বুঝে স্মার্ট হতে হয়। এমন কিছুই করতে চাইছিলাম আমি। এটা উপলব্ধি করতে হবে যে, বোলাররাও খুব স্মার্ট। তারা বাতাসের সঙ্গে বোলিং খুব একটা করবে না। একজন্যই মাঠের সব দিকেই শট খেলার চেষ্টা করতে হবে, একমুখী হওয়া যাবে না। আমার মাথায় এটিই পুরোপুরি খেলা করছিল।”“চেষ্টা করছিলাম, মাঠের সব দিকেই যতটা সম্ভব শট খেলতে। এভাবে মাথা উন্মুক্ত রাখলে এবং স্রেফ একটি শট খেলার ভাবনা না রাখলে, খোলামেলা খেলা সম্ভব এবং মাঠের সব প্রান্তেই খেলা যায়। এটিই করার চেষ্টা করছিলাম।”

রোহিতকে এমন ব্যাটিং করতে সহায়তা করেছে অবশ্যই সেন্ট লুসিয়ার উইকেট। এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে ভালো ব্যাটিং উইকেট দেখা গেছে এই ড্যারেন স্যামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই। এই ম্যাচেও তা ব্যতিক্রম ছিল না। রোহিত চেষ্টা করেছেন উইকেটের ফায়দা নিতে।“দেখুন, উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো এবং এরকম উইকেটে এটিই করতে চাই (আগ্রাসী ব্যাটিং)। যখন এরকম ভালো উইকেট পাওয়া যায়, সব ধরনের শট খেলতে নিজের ওপর আস্থা রাখতেই হবে। গত কয়েক বছর ধরেই তো এভাবে খেলার চেষ্টা করেছি। ভালো লাগছে যে, আজকে এটা কাজে দিয়েছে।”

বিশ্বমঞ্চে সবশেষ যখন এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল, গত নভেম্বরে গুজরাটে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে গ্যালারির লাখো দর্শক ও ভারতজুড়ে শত কোটি মানুষকে স্তব্ধ করে শিরোপা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচের প্রতিশোধ তো আর এখানে নেওয়া যায় না। তবে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে এমন জয়ে দারুণ সন্তুষ্ট ভারতীয় অধিনায়ক।“এই জয় বেশ তৃপ্তিদায়ক, বিশেষ করে এভাবে খেলার পর। আমরা সবাই জানি আমাদের প্রতিপক্ষ কেমন ও কতটা হুমকি তারা বয়ে আনে। আমার মনে হয়, দল হিসেবে সব মিলিয়ে আমরা ভালো খেলেছি। আমাদের যা করা উচিত এবং যা করতে পারি, তা টানা করে গেছি আমরা। এই ম্যাচ থেকে অনেক আত্মবিশ্বাস সামনে বয়ে নিতে পারি আমরা।”

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য