স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৮ মে: ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে মোনাকো থেকে ইউনাইটেডে পা রাখেন মার্শিয়াল। তার শুরুটা সাড়া জাগানো হলেও পরে সেভাবে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। এই প্রায় ৯ বছরে রেড ডেভিলসদের হয়ে ৩১৭ ম্যাচ খেলে তার গোল ৯০টি।এই মৌসুম শেষে তার বিদায়টা একরকম অবধারিতই মনে হচ্ছিল। ফিটনেস ও পারফরম্যান্স দিয়ে চুক্তি নবায়নের দাবি তিনি জানাতে পারছিলেন না। কয়েক মৌসুম ধরেই চোটের কারণে নিয়মিত মাঠে থাকতে পারছেন না ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। ২০২২ সালে ধারে তাকে পাঠানো হয়েছিল স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়ায়। এই মৌসুমেও গত ৯ ডিসেম্বরের পর থেকে চোটে পড়ে ম্যাচের পর ম্যাচ, মাসের পর মাস ধরে তিনি স্কোয়াডের বাইরে। সবশেষ এফএ কাপ জয়ের ফাইনালেও স্কোয়াডে ছিল না তার নাম।২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ৩ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ডে মোনাকো থেকে মার্শিয়ালকে নিয়ে আসে ইউনাইটেড। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ‘টিনএজ’ ফুটবলার ছিলেন তখন তিনি। ইউনাইটেডের জার্সিতে তার শুরুটাও ছিল চমকপ্রদ। অভিষেক ম্যাচেই তিনি দারুণ এক গোল করেন লিভারপুলের বিপক্ষে। সপ্তাহখানেক পর প্রথমবার শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়ার ম্যাচে করেন জোড়া গোল। প্রথম চার ম্যাচে চার গোলের পর তাকে নিয়ে মুগ্ধতার কথা জানান স্বয়ং কিংবদন্তি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন।
কিন্তু সেই ধারা তিনি ধরে রাখতে পারেননি। উন্নতির পথ ধরে ছুটতে পারেননি প্রত্যাশিত গতিতে। গত কয়েক মৌসুমে ক্রমে মলিন থেকে মলিনতর হয়ে এবার ক্লাবই ছাড়ছেন।সামাজিক মাধ্যমে বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে মার্শিয়াল কৃতজ্ঞতা জানালেন সমর্থকদের প্রতি।“প্রচণ্ড আবেগপ্রবণ হয়ে আজকে বিদায়ের কথা লিখছি আপনাদের জন্য। এই ক্লাবে অবিশ্বাস্য ৯টি বছর কাটিয়ে ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায় শুরুর সময় হলো আমার। এই পথচলায় ভালো সময়ে ও কঠিন সময়ে আপনারা সবসময় পাশে ছিলেন। আপনাদের ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততা আমার জন্য ছিল নিরন্তর প্রেরণার উৎস।”নতুন ঠিকানা নিয়ে এখনও কিছু জানাননি তিনি।মার্শিয়ালের স্বদেশী ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানেও সম্প্রতি জানিয়েছেন, এই মৌসুম শেষে ছেড়ে যাবেন ইউনাইটেড।