Saturday, July 27, 2024
বাড়িখেলা‘অসাধারণ’ গিলেরকে ছাড়বে না রেয়াল মাদ্রিদ

‘অসাধারণ’ গিলেরকে ছাড়বে না রেয়াল মাদ্রিদ

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৭ এপ্রিল: লা লিগার ম্যাচে শুক্রবার রেয়াল সোসিয়েদাদের মাঠে রেয়াল মাদ্রিদকে জয় এনে দেন গিলের। তার প্রথমার্ধের গোলই ম্যাচে গড়ে দেয় ব্যবধান। আগের ম্যাচে বার্সেলোনাকে হারানোর পর লিগ শিরোপা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় রেয়ালের। সামনেই আছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি-ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে লড়াই। সোসিয়েদাদের বিপক্ষে এই ম্যাচে তাই একাদশে ৯টি পরিবর্তন আনেন আনচেলত্তি। এই মৌসুমে নিয়মিত একাদশে থাকা ফুটবলারের মধ্যে এ দিন শুরুর একাদশে ছিলেন কেবল দানি কার্ভাহাল ও অহেলিয়া চুয়ামেনি। এই পরিবর্তনের পালাতেই সুযোগটা পান গিলের, যে দিনটির জন্য অপেক্ষা করে আসছিলেন তিনি অনেক দিন ধরে। গত জুলাইয়ে ফেনারবাচে থেকে রেয়ালে পাড়ি জমান তিনি। তুমুল প্রতিভাবান এই তরুণের দিকে চোখ ছিল ইউরোপের বেশ কটি শীর্ষ ক্লাবের। সেখানে জয়ী হয় শেষ পর্যন্ত রেয়াল। কিন্তু স্বপ্নের ক্লাবে আসার পর থেকেই শুরু হয় তার দুঃস্বপ্নের। প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি পর্বেই গুরুতর চোটে পড়ে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েন তিনি লম্বা সময়ের জন্য। সেটি কাটিয়ে ফেরার পর আরও দুই দফায় পেশির চোটে পড়েন। সব মিলিয়ে মাঠে ফেরার লড়াইয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় বেশির ভাগ সময়। এবারের মৌসুমে তাই লা লিগায় স্রেফ ছয়টি ম্যাচে তাকে দেখা গেছে। প্রথম একাদশে প্রথম সুযোগ পেলেন শুক্রবারই। 

সীমিত সুযোগে নিজের সামর্থ্যের ঝলক অবশ্য তিনি মেলে ধরেছেন। গত মার্চে সেল্তা ভিগোর বিপক্ষ ম্যাচে গোল করেন একদম শেষ সময়ে। এবার তো সোসিয়েদাদের বিপক্ষে দলকে জেতালেন ১৯ বছর বয়সী উইঙ্গার। তবে তারকায় ঠাসা দলে সুযোগ পাচ্ছিলেন না বলেই তাকে নিয়ে নানা খবর ছড়াচ্ছিল। তিনি অস্থির হয়ে উঠছেন, অন্য ক্লাবে গিয়ে মাঠে নামার সুযোগ চান, রেয়ালও তাকে আগামী মৌসুমে ধারে পাঠাতে চায় কোনো ক্লাবে, এরকম খবর প্রকাশিত হচ্ছিল সংবাদমাধ্যমে। তবে সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ম্যাচের পর সেসব খবর উড়িয়ে দিলেন আনচেলত্তি। তরুণ এই প্রতিভাকে নিয়ে নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি রেয়াল কোচ বললেন, ভবিষ্যতে আরও বেশি সুযোগ দেওয়া হবে তাকে। “ভবিষ্যতে আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন হয়ে উঠবে আর্দা (গিলের)। কোনো সংশয়ই নেই যে পরের মৌসুমেই সে এখানেই থাকছে।” 

“তার মান অসাধারণ। খুবই প্রতিভাবান, সহজাত ক্ষমতা তার আছে। কঠোর পরিশ্রমও করে চলেছে… ট্রেনিং খুব ভালোভাবে করছে। তবে মনে রাখতে হবে, সে এখনও তরুণ। আস্তে আস্তে সে স্কোয়াডে আরও বেশি সম্পৃক্ত হবে। প্রতি মিনিটে গোল করার হিসেবে সে সবচেয়ে এগিয়ে, এতটাই সহজাত প্রতিভা তার।” দলকে জেতাতে পেরে গিলের স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত। নিজেও জানিয়ে দিলেন, এই ক্লাবে কতটা সুখে আছেন তিনি।“সতীর্থদের অভিনন্দন জানাতে চাই (জয়ের জন্য) এবং কার্লো আনচেলত্তিকে ধন্যবাদ দিতে চাই আমাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমি খুবই খুশি যে আজকে গোল করেছি এবং দল জিতেছে।” “রেয়াল মাদ্রিদ বিশ্বের সেরা ক্লাব। তাদের হয়ে গোল করতে পারার অনুভূতি সবচেয়ে সেরা। অবশ্যই এই ক্লাবে থাকতে পেরে আমি খুশি। শুধু শারীরিকভাবেই নয়, মানসিক উন্নতি নিয়েও কাজ করে চলেছি আমি। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছি, মানসিকতার উন্নতি হচ্ছে।”

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য