নয়াদিল্লি, ২১ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): বিরাট কোহলির পর ঋদ্ধিমান সাহাকে ঘিরে বিতর্কে জর্জরিত ভারতীয় ক্রিকেট। যিনি সম্প্রতি দাবি করেছেন, ‘সম্মানিত’ এক সাংবাদিকের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। সাংবাদিকের পাঠানো মেসেজের স্ক্রিনশটও শেয়ার করেন ঋদ্ধি। যার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে জোর চর্চা। এই ঘটনায় এবার আসরে নামল বিসিসিআই ।বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। গোটা বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে চলেছে বিসিসিআই। ঋদ্ধিমানের বক্তব্য এবং তাঁর শেয়ার করা স্ক্রিনশটের সত্যতা যাচাই করা হবে।
বোর্ড সূত্রে খবর, ঋদ্ধিমান বিসিসিআইয়ের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার। তাই তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ করলে তা মুখ বুজে মেনে নেওয়া হবে না। ‘অপরাধী’কে খুঁজে বের করা হবে। ভবিষ্যতে যাতে আর কোনও ক্রিকেটারকে ‘হুমকি’র মুখে পড়তে না হয়, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে চায় বোর্ড। সেই কারণেই ঘটনার তদন্তের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বোর্ড। ভারতীয় বোর্ডের তরফে এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, “(ঋদ্ধিমান) সাহার সঙ্গে বোর্ডের চুক্তি রয়েছে। তাই তাঁর সুবিধা-অসুবিধার খেয়াল রাখা হবে। কার্যক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হলে তা খতিয়ে দেখা হবে।”
গত শনিবার লঙ্কাবাহিনীর বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা করেন নির্বাচক প্রধান। যেখানে বাদ পড়েন ঋদ্ধি। উইকেটকিপার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ঋষভ পন্থকেই। এরপরই বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ঋদ্ধিমান। সেই আগুনে ঘি পড়ে ঋদ্ধির একটি পোস্টে। নাম না করে ওই সাংবাদিকের পাঠানো মেসেজের একটি স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন বাংলার উইকেটকিপার। যেখানে তিনি জানান, দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে কোনও কথা বলতে না চাওয়ায় তাঁকে রীতিমতো এক সাংবাদিকের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। শেয়ার করা স্ক্রিনশটে লেখা, ঋদ্ধিমান ফোন না ধরায় তিনি অপমানিত বোধ করেছেন। আর তিনি অপমান হালকাভাবে নেন না। আক্ষেপের সুরে পোস্টের ক্যাপশনে বাংলার উইকেটরক্ষক লেখেন, “ভারতীয় ক্রিকেটে এতদিনের অবদানের পর শেষে এই আমার প্রাপ্তি। একজন সম্মানীয় সাংবাদিকের থেকে এমন মেসেজ পেতে হচ্ছে। এই পথেই এগিয়েছে সাংবাদিকতা।” নেটদুনিয়ায় পোস্টটি ভাইরাল হতেই ঋদ্ধির সমর্থনে সুর চড়ান বীরেন্দ্র শেহওয়াগ, হরভজন সিং, আরপি সিংরা। এবার আসরে নামছে বিসিসিআইও।–